Kaun Banega Crorepati 16

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র ৫০ লক্ষের এই প্রশ্ন শুনে হোঁচট খান আইআইটি পড়ুয়াও! কী সেই প্রশ্ন?

আইআইটি রুরকির স্নাতক প্রুধ্বী বর্তমানে আইআইএম বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ করছেন। এই দু’জায়গাতেই পড়ার সুযোগ পাওয়া মুখের কথা নয়। কী ভাবে তিনি নিজেকে যোগ্য করে তুললেন, অমিতাভের মুখোমুখি বসে সেই গল্প শুনিয়েছেন প্রুধ্বী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সম্প্রতি অমিতাভ বচ্চন সঞ্চালিত ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র ১৬তম সিজ়নের একটি পর্বে ‘হট সিটে’ বসেছিলেন হায়দরাবাদের যুবক এমএসভিএস সাই প্রুধ্বী। আইআইটির প্রাক্তন এবং আইআইএমের বর্তমান পড়ুয়া প্রুধ্বী প্রথম থেকেই ব্যাটেবলে ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন। অমিতাভের ছোড়া প্রশ্নবাণ সামলাচ্ছিলেন সাবলীল এবং বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে। কিন্তু আটকালেন ৫০ লক্ষ টাকার প্রশ্নে। প্রশ্ন শুনে হোঁচট খান প্রুধ্বী। ‘হট সিট’ ছাড়েন তিনি। কিন্তু কী ছিল সেই প্রশ্ন? দেখবেন না কি এক বার চেষ্টা করে সেই প্রশ্নের উত্তর জানা আছে কি না?

Advertisement

আইআইটি রুরকির স্নাতক প্রুধ্বী বর্তমানে আইআইএম বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ করছেন। এই দু’জায়গাতেই পড়ার সুযোগ পাওয়া মুখের কথা নয়। কী ভাবে তিনি নিজেকে যোগ্য করে তুললেন, অমিতাভের মুখোমুখি বসে সেই গল্প শুনিয়েছেন প্রুধ্বী। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আমার মা অষ্টম শ্রেণি থেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন। পড়াশোনা করে আমি আইআইটিতে ভর্তির সুযোগ পাই। এর পরে চাকরি করছিলাম। কিন্তু নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে আমি এমবিএ করতে শুরু করি।’’

প্রুধ্বী আরও বলেন, “ছোটবেলায় বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন আমার মা। তাঁর জন্যই আমি ভাল শিক্ষা পেয়েছি। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি আমি। স্কুলের বেতন দেওয়ার মতো টাকা আমাদের ছিল না। মায়ের আত্মীয়েরা আমাদের অনেক অর্থসাহায্য করেছিলেন। চাকরি পেয়ে আমি সে সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি।’’ প্রুধ্বীর সেই সংগ্রামের কথা শুনে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ‘বিগ বি’। তাঁকে ‘আদর্শ পুত্র’ তকমাও দেন। এর মধ্যেই খেলা চলতে থাকে। এক হাজার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা জেতার প্রশ্ন— ঠান্ডা মাথায় একের পর এক উত্তর দেন প্রুধ্বী। ২৫ লক্ষ টাকার প্রশ্নের জন্য তিনি ‘লাইফলাইন’ও ব্যবহার করেন। খেলার সময় মায়ের জন্য বাড়ি কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন প্রুধ্বী। পথনাটিকা, ‘স্ট্যান্ড-আপ কমেডি’ এবং র‌্যাপের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা জানান। অমিতাভের অনুরোধে একটি র‌্যাপ গেয়েও শোনান।

Advertisement

এর পর আসে সেই ৫০ লক্ষ টাকার প্রশ্ন। প্রশ্ন ছিল, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হিসাবে নির্বাচিত প্রথম ভারতীয় কে? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতেন না প্রুধ্বী। সঠিক উত্তর— আরদাসির কার্সেটজি ওয়াদিয়া। উত্তর নিয়ে নিশ্চিত না হওয়ার কারণে ‘হট সিট’ ছাড়েন প্রুধ্বী। বাড়ি ফেরেন ২৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement