(এআই সহায়তায় প্রণীত)
দু’বছর ধরে একটি ছোট সংস্থায় চাকরি করতেন তরুণ। বেশি পারিশ্রমিকের পাশাপাশি কর্মজীবনে অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই ওই সংস্থার চাকরি ছেড়ে নামী সংস্থায় নতুন চাকরিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মাথায় ছাঁটাই করা হয় তাঁকে। সেই পরিস্থিতির কথাই সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) করে উল্লেখ করেন তরুণ।
‘আর/দিল্লি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে নামোল্লেখ না করে নিজের কর্মজীবনের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। গুরুগ্রামের একটি ছোট সংস্থায় টানা দু’বছর ধরে চাকরি করছিলেন তরুণ। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অন্য সংস্থায় চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। ইন্টারভিউ দেওয়ার পর তাঁর চাকরি পাকা হয়ে যায়। পদোন্নতিও হয় তাঁর। নামী সংস্থায় চাকরি পেয়ে খুশি হয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু সেই আনন্দ বেশি দিন স্থায়ী হল না। দক্ষিণ দিল্লির সাকেতে ছিল তরুণের নতুন অফিসের ঠিকানা।
চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মাথায় তরুণের ডাক পড়ে ঊর্ধ্বতনের ঘরে। সংস্থার তরফে তরুণকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানান তাঁর ঊর্ধ্বতন। তা শুনে পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে যায় তরুণের। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তিনি। ঊর্ধ্বতন জানান, তাঁরা প্রথমে অধস্তন কর্মীর সন্ধানে ছিলেন।
ইন্টারভিউ দিয়ে সেই পদে চাকরি পেয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু তরুণ নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’দিন পর সংস্থার চাহিদা নাকি রাতারাতি বদলে যায়। বর্তমানে সংস্থা এমন কর্মীর খোঁজে রয়েছেন, যিনি বেশি দায়িত্ব সামলাতে পারবেন। ঊর্ধ্বতনের পদে নিযুক্ত করা হবে নতুন কর্মীকে।
সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত তরুণের কাজও নাকি খুব সহজেই সামলাতে পারবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন থাকবে না বলে তরুণকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। বর্তমানে চাকরিহারা অবস্থায় রয়েছেন তরুণ। অভিজ্ঞতা ছাড়া তিনি উঁচু পদে চাকরি পাবেন না। এমনকি, পুরনো সংস্থায় ফিরে যাওয়ার পথও খোলা নেই তাঁর কাছে। তরুণ জানান, তিনি যখন আগের চাকরি ছেড়েছিলেন, তখন তাঁর পদে এক নতুন কর্মী যোগ দেন। চাকরি ছাড়ার আগে সেই কর্মীকে সমস্ত দায়িত্বভার সঁপে পুরনো সংস্থাকে বিদায় জানিয়েছিলেন তরুণ।