ছবি: সংগৃহীত।
যানজটের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে সার সার গাড়ি। একেবারে সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল কমলা রঙের একটি ল্যাম্বরঘিনি। হঠাৎই দু’টি ষাঁড়কে উল্টো দিক থেকে ছুটে আসতে দেখা গেল। তাদের মধ্যে একটি লাফ দিয়ে সটান উঠে পড়ল ল্যাম্বরঘিনির উপর। গাড়ির উপর উঠে নাচানাচি শুরু করল বিশাল প্রাণীটি। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। ভিডিয়োটি কবে বা কোথায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশের মতে ভিডিয়োটি ভুয়ো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ঝাঁ-চকচকে ল্যাম্বরঘিনির দিকে দু’টি বিশাল ষাঁড় প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে। একটি ষাঁড় গাড়ির উপর লাফিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির উইন্ডশিল্ড, বনেট, এমনকি ছাদও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বিলাসবহুল গাড়িটি। গাড়ির সামনের অংশের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তবে ভিডিয়োটি সত্যি না কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি, সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিয়োটি নেটাগরিকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে এই ভিডিয়োটি। প্রচুর মন্তব্য জমা পড়েছে ভিডিয়োয়। ১ লক্ষ ১২ হাজার লাইক জমা পড়েছে তাতে।
এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এআইয়ের ব্যবহার ক্রমে মাত্রাছাড়া হয়ে উঠছে। লোকজন যা খুশি করছে।’’ দ্বিতীয় নেটাগরিক যোগ করেছেন, ‘‘ভারতীয়েরা কী ভাবে এআইকে ব্যবহার করছে তার প্রমাণ এই ভিডিয়োটি।’’ কয়েক মাস আগেই ঠিক এই ধরনের একটি ভিডিয়ো নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা তুঙ্গে উঠেছিল। একটি নদীতে বিশাল এক অ্যানাকোন্ডা ঘুরে বেড়ানোর ভিডিয়ো হেলিকপ্টার থেকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। সেই ভিডিয়োটিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলে দাবি উঠেছিল সমাজমাধ্যমে।