Brussels Airlines

বিমানে উঠেই প্রসবযন্ত্রণা! মাঝ আকাশে মা হলেন যাত্রী, সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে আপ্লুত বিমানকর্মী

এক তরুণী যাত্রীর শুরু হল পেটে যন্ত্রণা। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিমানকর্মীকে ডাকেন তিনি। তরুণী যাত্রী যে মা হতে চলেছেন তা দেখেই বুঝতে পারেন অভিজ্ঞ বিমানকর্মী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১২
Share:

সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে বিমানকর্মী। —ছবি: সংগৃহীত।

বিমানবন্দর ছেড়ে বেশ কিছু ক্ষণ আগে বিমান উড়ে গিয়েছে। যাত্রীরা কেউ বিশ্রাম করছেন, কেউ আবার খাওয়াদাওয়া সারছেন। তার মাঝেই এক তরুণী যাত্রীর শুরু হল পেটে যন্ত্রণা। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিমানকর্মীকে ডাকেন তিনি। তরুণী যাত্রী যে মা হতে চলেছেন তা দেখেই বুঝতে পারেন অভিজ্ঞ বিমানকর্মী। সঙ্গে সঙ্গে পাইলটকে খবর দেন ওই বিমানকর্মী। গন্তব্যস্থলে না গিয়ে পাইলট আবার বিমানটি ঘুরিয়ে ফেলেন। কিন্তু বিমানবন্দর পৌঁছোনোর আগেই মাঝ আকাশে সন্তানের জন্ম দিলেন যাত্রী। বিমান সংস্থার তরফে তাদের সমাজমাধ্যমের পাতায় ছবি পোস্ট করে সেই সুখবর জানানো হয়েছে।

Advertisement

পশ্চিম আফ্রিকার সেনেগালের দাকার বিমানবন্দর থেকে উড়ান দিয়েছিল ‘ব্রাসেল্‌স এয়ারলাইন্‌স’ সংস্থার একটি বিমান। সেই বিমান ছাড়ার পর প্রসবযন্ত্রণা ওঠে নদেয়ে নামের এক যাত্রীর। তরুণী বিমানকর্মী জেনিফার জোয়ি তা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ককপিটে খবর পাঠান। গন্তব্যস্থলে না গিয়ে আবার দাকারের উদ্দেশে বিমান ঘুরিয়ে ফেলেন পাইলট। যাত্রীদের মধ্যে কেউ চিকিৎসক কি না তার খোঁজ করতে শুরু করেন জেনিফার। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় যে, যাত্রীদের মধ্যে এক জন পেশায় চিকিৎসক এবং এক তরুণী সদ্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে সেবিকা পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের সহায়তায় মাঝ আকাশেই সন্তানের জন্ম দেন নদেয়ে। সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জেনিফার। তাঁরও সন্তান রয়েছে।

জেনিফার বলেন, ‘‘বিমানকর্মীদের সকল বিষয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এমনকি সন্তানের জন্ম কী ভাবে দেওয়া যায় তা-ও শেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সব কেমন যেন লাগে। সদ্যোজাতের জন্মের পর খুব ভয় করছিল। ও ঠিক রয়েছে কি না তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। তার পর কানে এক সুন্দর শব্দ ভেসে এল। সদ্যোজাতের কান্নার আওয়াজ। তা এক ঐশ্বরিক অনুভূতি ছিল।’’ আদর করে সদ্যোজাতের নাম ‘বেবি ফ্যানটা’ রেখেছেন বিমান সংস্থার কর্মীরা। সমাজমাধ্যমে শিশুর ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‘আশা করছি তুমি আবার একদিন আমাদের বিমানে যাত্রা করবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement