—প্রতীকী ছবি।
বিয়ের আসর বসল কারাগারেই। পাত্র জেলবন্দি অভিযুক্ত। পাত্রী খোদ অভিযোগকারিণী। বিহারের মধুবনীর একটি জেলে চার দেওয়ালের মধ্যেই চার হাত এক হল বর-কনের। আদালতের নির্দেশে এক তরুণ বিয়ে করলেন তাঁরই বিধবা বৌদিকে। ‘বরযাত্রী’ হলেন জেলের বাকি কয়েদিরা। সম্মতি ছাড়া সহবাস ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার হন তরুণ। আদালতের নির্দেশ ছিল বিয়ে না করলে জামিন মিলবে না। বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অভিযুক্ত।
বিহারের বাসিন্দা বদ্রি ওরফে ছোটু যাদবের বিরুদ্ধে একাধিক বার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর বৌদি গীতা কুমারী। ২০২২ সালে, গীতার স্বামী মারা যাওয়ার পর বৌদির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে বদ্রির। একাধিক বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন গীতা। বার বারই জোর করে তাঁর গর্ভপাত ঘটান বদ্রি। শেষ বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর গীতা তাতে প্রতিবাদ জানান। তার জেরে গীতার উপর অত্যাচার শুরু করেন দেওর। গীতার উপর যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। সন্তানের সুরক্ষার জন্য শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে স্থানীয় মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গীতা। এর পর, বদ্রিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারির পর বদ্রি পটনা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান। পটনা হাই কোর্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিল অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করার পরই যেন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। অভিযুক্ত স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়েছিলেন। অনুমোদন পাওয়ার পর, কারা কর্তৃপক্ষ মধুবনী জেলের ভিতরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেল সুপার ওম প্রকাশ শান্তি ভূষণ জানিয়েছেন যে আদালতের আদেশ মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সেই বিয়েতে আইনজীবী, পরিবারের সদস্য এবং জেলকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।