(বাঁ দিক থেকে) ভ্লাদামির পুতিন, শি জিনপিং এবং কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স।
দু’জনেই সত্তরের কোঠা পেরিয়ে গিয়েছেন। তাই আয়ু ও বয়স নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চিন্তাভাবনার ঝলক উঠে এল তাঁদের কথোপকথনেও। বেজিঙে একটি সামরিক মহড়ার ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনায় উঠে এল আয়ুবৃদ্ধি ও অমরত্বের প্রসঙ্গ। ভুল করে একটি মাইক চালু থাকার কারণে সেই কথোপকথনটি প্রকাশ্যে এসেছে। দুই দুঁদে রাষ্ট্রনেতার আলাপচারিতার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ঐতিহাসিক তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে গিয়ে দুই নেতা এবং উত্তর কোরিয়া (ডেমোক্র্যাটিক পিপল্স রিপাবলিক অফ কোরিয়া) প্রেসিডেন্ট কিম জং উন একসঙ্গে হেঁটে যাওয়ার সময় চিনের সরকারি টিভিতে সম্প্রচারিত একটি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দৃশ্য ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে ব্যক্তিগত স্তরে পৌঁছে গিয়েছে রাষ্ট্রনেতাদের আলাপচারিতা। দু’জনে অবশ্য অনুবাদকের সাহায্যে কথোপকথন চালাচ্ছিলেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পুতিনের উদ্দেশে শি কিছু বলার পর মাইকে শি’র দোভাষী রাশিয়ান ভাষায় সেটি অনুবাদ করে দেন। তাঁকে রুশ ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘‘অতীতে ৭০ বছরের বেশি বয়স অবধি বাঁচা বিরল ছিল এবং আজকাল ৭০ বছর বয়সিকেও কেউ শিশু বলে মনে করেন।’’ অনুবাদকের কথা শুনে হাসতে হাসতে জবাব দেন পুতিনও। সেই কথা জিনপিঙের কাছে তুলে ধরেন পুতিনের অনুবাদক। তাঁকে মান্দারিন ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘‘মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপনযোগ্য। আপনি যত বেশি বাঁচবেন, তত কম বয়সি হবেন এবং অমরত্ব অর্জন করতে পারবেন।’’ শি’র দোভাষী তখন রুশ ভাষায় পুতিনকে জানান এই শতাব্দীতে ১৫০ বছর বাঁচাটাও বিচিত্র নয়। এই দুই কথোপকথনের মাঝে কিমকে হাসতে দেখা যায়। তাঁর জন্য গোটা কথোপকথনটি অনুবাদ করা হয়েছিল কি না তা জানা যায়নি।
এক পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য পাশে উত্তর কোরিয়ার অবিসংবাদী নেতা কিম জং উন। দুই রাষ্ট্রনেতাকে দু’পাশে নিয়ে লাল গালিচার উপর দিয়ে হেঁটে তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারের দিকে এগিয়ে চলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর এক মিনিটের মধ্যেই অডিয়োটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তত ক্ষণে ওই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। দুই ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তাদের ব্যক্তিগত আলাপের মুহূর্তটি লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। জানা গিয়েছে পুতিন পরে রুশ গণমাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেন। তিনি জানান, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে, এমনকি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে মানবজীবন দীর্ঘায়ু লাভ করেছে।