Jamui

Viral: স্বপ্ন ছুঁতে রোজ এক পায়ে এক কিমি হেঁটে স্কুল, সীমাহীন জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সীমা

সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছে সীমা। পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল তার। কিন্তু পরিবারকে সীমা জানায়, সে স্কুলে যাবে এবং এক পা নিয়েই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২২ ১৬:৩৫
Share:

এক পায়ে লড়াই সীমার। ছবি সৌজন্য টুইটার।

ইংরাজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘হোয়্যার দেয়ার ইজ আ উইল, দেয়ার ইজ আ ওয়ে’। বাংলায় যার অর্থ হল, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, ইচ্ছাটাই আসল। আর সেই ইচ্ছা আর অদম্য জেদের কাছে হার মানল প্রতিবন্ধকতা। এক স্কুলপড়ুয়ার ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের একটি রাস্তা ধরে এক পায়ে লাফাতে লাফাতে পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছে একটি ছোট মেয়ে। আবার শেয়ার করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।ঘটনাস্থল বিহারের জামুই। ভিডিয়োতে যে বাচ্চা মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম সীমা। বাবা-মা ভিন্‌রাজ্যে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সংসারের ছবিটা স্পষ্ট। সীমারা পাঁচ ভাই-বোন। সীমার স্বপ্ন বড় হয়ে শিক্ষক হবে। স্কুলেও ভর্তি হয়েছিল সে। কিন্তু বছর দুয়েক আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পা খোয়াতে হয় সীমাকে। পরিবারের সবাই মেয়ের স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কা করছিলেন, সীমা কিন্তু নিজের স্বপ্নের জাল ছিঁড়তে দেয়নি কোনও ভাবেই।

Advertisement

সীমার পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে তার পরিবারকে জানায়, স্কুলে যাবে এবং এক পা নিয়েই। তার জেদের কাছে হার মানতে হয় পরিবারকেও। এক পা নিয়েই ফের শুরু হয় সীমার স্বপ্ন গড়ে তোলার সফর। রোজ এক কিলোমিটার পিঠে ব্যাগ নিয়ে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয় সে। সীমার এই অদম্য উৎসাহ দেখে স্কুলের শিক্ষকরাও অভিভূত।

অভিভূত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল। তিনি লেখেন, ‘সীমার উৎসাহ দেখে আমি অভিভূত। এ দেশের প্রত্যেক শিশুর সুশিক্ষা জরুরি। সীমার কাহিনি সত্যিই প্রেরণা জোগায়। তার মতো শিশুদের ভাল শিক্ষার প্রয়োজন।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement