—প্রতীকী ছবি।
সারা দিনে ১২ ঘণ্টার বেশি কানে হেডফোন গুঁজে রাখতেন তরুণী। কানে ইয়ারফোন পরেই ঘুমিয়ে পড়তেন কখনও-সখনও। আর তা থেকেই ঘনিয়ে এল বিপদ। দীর্ঘ সময় হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। সারা ক্ষণ কানের ভিতর একটানা ঝিঁঝি শব্দ ছাড়া কিছুই শুনতে পাচ্ছিলেন না বলে এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে জানিয়েছেন তিনি। পোস্টে তিনি ইয়ারফোন ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছেন। পোস্টটি সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের নজর কেড়েছে। যদিও এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
তরুণী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘দু’-তিন বছর ধরে একটানা ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে আমার কানের সমূহ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা ইয়ারফোন পরতাম, এমনকি ঘুমোনোর সময়ও (বেশির ভাগ সময় আমার ডান কানে)। গত দু’দিন ধরে, আমি ঝিঁঝি শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে খেয়াল করি সেই কানে আর কিছুই শুনতে পাচ্ছি না।” তিনি জানান, সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে দৌড়োতে হয়। চিকিৎসক তরুণীকে জানান, কানের পর্দায় সংক্রমণ হয়েছে। ভিতরে পুঁজ জমেছে। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারত বলেও জানান তাঁর চিকিৎসক। তরুণীর পরামর্শ, ‘‘দয়া করে সাবধান থাকুন। দেরি হওয়ার আগে আপনার কান রক্ষা করুন।’’
পোস্টটি ভাইরাল হতেই নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন মন্তব্য বিভাগে। এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বড়ই ভয়ের ব্যাপার। আমি দিনে ৪-৫ ঘণ্টা ইয়ারফোন ব্যবহার করি। এটা শুনে আমি চিন্তিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি কমিয়ে আনা দরকার।’’ অন্য এক নেটাগরিকের দাবি, ‘‘ইয়ারফোনের কারণে সংক্রমণ হয় না। বছরের পর বছর ধরে একই ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে।’’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দের সংস্পর্শে ২ ঘণ্টার বেশি সময় থাকলে কানের ক্ষতি হতে পারে। তাই শব্দের সীমা ৭০ ডেসিবেলের মধ্যে রাখা উচিত।