bizarre

পাহাড়ে অভিযানে গিয়ে খোঁজ মিলল ‘কুবেরের ঐশ্বর্যের’! হাতে এল নাৎসিদের পুঁতে রাখা বিপুল গুপ্তধন

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ১৯ শতকের গোড়ার দিকের সময়কালের মধ্যে এগুলি তৈরি করা হয়েছে। মুদ্রাগুলি সম্ভবত ১৯২১ সালের পরবর্তী সময়ে মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল বিশেষ কোনও কারণে

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৫ ১১:০১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পাহাড়ে হাইকিং করতে গিয়ে কুবেরের ধন আবিষ্কার করলেন দুই তরুণ। চেক রিপাবলিকের পাহাড়ে চড়তে গিয়ে বনের প্রান্তে আকস্মিক ভাবেই ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার ধনভান্ডার হাতে পান দুই পর্বতারোহী। পডক্রকোনোসি পর্বতের পাদদেশের একটি অরণ্যে লুকোনো ছিল ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা, গয়না এবং তামাকের ব্যাগ। মুদ্রাগুলি শতাধিক বছর ধরে মাটিতে পোঁতা ছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ১৯ শতকের গোড়ার দিকের সময়কালের মধ্যে এগুলি তৈরি করা হয়েছে। মুদ্রাগুলি সম্ভবত ১৯২১ সালের পরবর্তী সময়ে মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল বিশেষ কোনও কারণে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অটোমান সাম্রাজ্য এবং প্রাচীন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির মুদ্রার দেখা মিলেছে সেই গুপ্তভান্ডারে।

Advertisement

ফেব্রুয়ারি মাসে পাহাড় অভিযানে গিয়ে তাঁরা এই গুপ্তধনের হদিস পান। গুপ্তধন পাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয় গত সপ্তাহে। পূর্ব বোহেমিয়ার জাদুঘর সর্বসমক্ষে গুপ্তধন পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মিরোস্লাভ নোভাক জানিয়েছেন, মূল্যবান ধাতুমুদ্রাগুলির বর্তমান মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, মুদ্রার উপর ছোট ছোট চিহ্নগুলি প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে এগুলি প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কী ভাবে গুপ্তধনটি পাহাড়ের পাশে চাপা পড়ে গিয়েছিল বিশেষজ্ঞেরা এখন সেটি নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের একাংশের ধারণা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে রাশিয়ার বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হয়ে পিছু হটার সময় নাৎসিরা এই সম্পদ ফেলে পালিয়েছিল। চেক আইন অনুসারে যাঁরা এই গুপ্তধন আবিষ্কার করেছেন তাঁরা সম্পদের মোট মূল্যের প্রায় ১০ শতাংশ পাবেন বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement