bizarre

জিমে স্নান করেন, গাড়িতে রাত কাটান চার তলা বাড়ির মালিক! তিন বছরে সঞ্চয় ১২ লক্ষ টাকা

বিশাল বাড়ির মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি চার বছর যাবৎ নিজের গাড়িতে বসবাস করছেন। শুধুমাত্র সাশ্রয় নয়, বরং ভাল লাগে বলেই তিনি এই ধরনের জীবনযাপন করে আসছেন দীর্ঘ কয়েক বছর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৫ ১৪:১৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

শহরের বুকে রয়েছে চারতলা বাড়ি। মাসের বেতনও এক লক্ষ টাকার বেশি। তা সত্ত্বেও বাড়ির আরাম ও সুখ ছেড়ে দিনের পর দিন গাড়িতেই বাস করেন চিনের বাসিন্দা এই তরুণ। দক্ষিণ চিনের গুয়াংডঙের ইয়াংজিয়াঙের বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সি ঝাং ইউনলাই পেশায় প্রোগ্রামার। বিশাল বাড়ির মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি চার বছর যাবৎ নিজের গাড়িতে বসবাস করছেন। শুধুমাত্র সাশ্রয় নয়, বরং ভাল লাগে বলেই তিনি এই ধরনের জীবনযাপন করে আসছেন দীর্ঘ কয়েক বছর।

Advertisement

ছ’বছর আগে কর্মসূত্রে ইয়াংজিয়াং ছেড়ে চিনের অন্য একটি শহর শেনজ়েনে চলে আসেন ঝাং। নতুন শহরে এসে প্রথম দিকে তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন। সেখান থেকেই প্রতি দিন অফিসে যাতায়াত করতেন ঝাং। এ জন্য তাঁকে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ইউয়ান বা ২৮ হাজার টাকার কাছাকাছি ভাড়া গুনতে হত। পার্কিংয়ে রাত কাটানোর একটি অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনযাপনের অভ্যাস পাল্টে দেয় বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ঝাং। চার বছর আগে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। এক বার কোনও একটি কারণে তাঁকে গাড়িতেই রাত কাটাতে হয়েছিল। সেই সময় তাঁর মাথায় আসে গাড়িতে একটি গদি পেতে আরামদায়ক ঘুমের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেই থেকেই গত চার বছর ধরে তিনি গাড়িতেই ঘুমোন বলে জানা গিয়েছে।

এখন তিনি প্রতি দিন গাড়ি থেকেই সোজা অফিস যান। অফিসের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খান। স্নান সারেন জিমের শৌচাগারে। রাতে পার্কিং লটে একটি শান্ত জায়গা বেছে নিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতেই নরম গদি বিছিয়ে শুয়ে পড়েন। সকালে পার্কিংয়েরই একটি বিলাসবহুল শৌচাগার ব্যবহার করেন তিনি। এই ভাবে জীবনযাপনের জন্য খাওয়া, পার্কিং ফি ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতি দিন ১ হাজার টাকার সামান্য বেশি খরচ হয়। গত তিন বছরে তিনি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেছেন। ঝাং জানান, তাঁর আর্থিক কষ্টের কারণে তিনি এই ধরনের জীবনযাত্রা বেছে নেননি। বরং এই ভাবে থাকা তাঁর কাছে আনন্দদায়ক ও এতে নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে পারেন। প্রতি সপ্তাহের শেষে তিনি গাড়ি নিয়ে নিজের শহরে ফিরে আসেন ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসেন বলে জানিয়েছেন ঝাং।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement