—প্রতীকী ছবি।
দুই নাবালক পুত্রকে নিয়ে টিভি দেখছিলেন যুবক। তখনই এসে কামড় দিল বিষাক্ত সাপ। যন্ত্রণাহীন কামড় বুঝতেই পারলেন না তিন জন। কিছু ক্ষণ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দুই নাবালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কুলপা গ্রামে। নিহত দুই নাবালকের নাম কুণাল এবং ইশান্ত দাহারে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ বাড়িতে বসে টিভি দেখছিলেন কুলপা গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ দাহারে নামে এক যুবক। তাঁর সঙ্গে বসে টিভি দেখছিল দুই নাবালক পুত্র কুণাল এবং ইশান্ত। হঠাৎ কুণাল এবং ইশান্ত বমি করতে শুরু করে। ভয় পেয়ে চিকিৎসককে ডেকে পাঠান পরিবারের সদস্যেরা। চিকিৎসক এসে দুই শিশুকে গোন্ডিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় দীনেশের ছোট ছেলে ইশান্তের। কুণালের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। পরীক্ষা করে দু’জনের শরীরেই মেলে সাপে কাটার দাগ। এর পর দীনেশও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শরীরেও সাপে কামড়ানোর দাগ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর গ্রামবাসীরা দীনেশের বাড়ি তন্ন তন্ন করে খোঁজ করেন। তখনই স্থানীয় ভাবে ‘দান্ডেকার’ নামে পরিচিত একটি কালাচ প্রজাতির সাপ খুঁজে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে ফেলেন তাঁরা। বিশেষ প্রজাতির ওই কালাচ ব্যথাহীন কামড় বসানোর জন্য পরিচিত।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে গিয়েছে কুলপা গ্রামে। এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘‘ওই পরিবারের তিন সদস্য প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পারেননি যে তাঁদের সাপে কামড়েছে। পরে উপসর্গ দেখা দেয়।’’
উল্লেখ্য, কালাচ একটি নিশাচর সাপ। গ্রামীণ এলাকায় রাতের বেলায় প্রায়শই শিকারের খোঁজে বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা। কালাচের কামড়ে ব্যথা হয় না। পরে বমি, পক্ষাঘাত এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে কালাচের কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে।