ছবি: সংগৃহীত।
অকালবর্ষণে ভাসছে মহারাষ্ট্র, বেঙ্গালুরু, গোয়া। অসময়ের বৃষ্টিতে নাজেহাল সৈকতশহর গোয়া। ২৮ ঘণ্টার টানা প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে গোয়া। বৃষ্টিপাতের ফলে দৈনন্দিন জীবন এক দিকে যেমন ব্যাহত হয়েছে, তেমনই যাত্রীরা প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। গত কাল থেকে রাজ্যের যে সব অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেখানে জল জমে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বৃষ্টিতে গ্রীষ্মের তীব্র তাপ থেকে সাময়িক মুক্তি মিললেও জল জমে গিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। যানজটের জেরে ভুগতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। পাকা সড়কে জলের স্রোত এতই তীব্র যে, ভেসে গিয়েছে যানবাহন।
সমাজমাধ্যমে এমন একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তায় স্কুটারসমেত আটকে পড়েছেন এক তরুণ। জলের স্রোত এত তীব্র ছিল যে তিনি টাল সামলাতে না পেরে বাহন নিয়েই ভেসে যান। ঘটনাটি এক প্রত্যক্ষদর্শী রেকর্ড করে সমাজমাধ্যমে তা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম ।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে জল জমে গিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। রাস্তা দিয়ে হু-হু করে বয়ে চলেছে লালচে ঘোলা জল। রাস্তার জলে ডুবে রয়েছে একাধিক চারচাকা। আর একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জমা জলের মধ্যে উল্টে পড়ে ভাসছে আরও একটি স্কুটার। জলের স্রোতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন বাসিন্দারা। ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডলে ‘আদিত্য রাই’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা বেঙ্গালুরুরও। রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির জেরে শহরের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত। একই দশা মহারাষ্ট্রের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে মুম্বইয়ের বেহাল দশা। কর্নাটক উপকূলের অদূরে পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় দানা বেঁধেছে। যে কারণে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি চলবে। ভূমিধসের কারণে মুম্বই-গোয়া রুটে ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। রাত ৮টার দিকে রেললাইন থেকে মাটি ও পাথর সরানোর পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।