ছবি: সংগৃহীত।
ঝুঁকি সত্ত্বেও সেল্ফি, রিল বা ভিডিয়ো তোলার উন্মাদনা কখনও কখনও মারাত্মক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে। হিমাচল প্রদেশের নদীগুলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তীব্র আকর্ষণে প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় করেন। সতর্কবাণী উপেক্ষা করে বিপজ্জনক নদীখাতে নেমে ছবি বা ভিডিয়ো তোলার আকর্ষণে মারাত্মক ঘটনাও ঘটে যায় কখনও কখনও। সে রকমই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল কসৌল। কসৌলের কাছে খরস্রোতা পার্বতী নদীর মাঝখানে সেল্ফি তোলার জন্য একটি পাথরের উপর উঠে দাঁড়িয়েছিলেন এক তরুণ। সেল্ফি তুলতে গিয়ে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পা পিছলে সোজা পড়লেন নদীতে। হাবুডুবু খেতে খেতে তলিয়ে গেলেন নদীর স্রোতে। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পা ফস্কে পড়ে যাওয়ার পরে ওই তরুণ সাঁতার কাটার চেষ্টা চালিয়ে যান। তীব্র স্রোতের কারণে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় তাঁর। সৌভাগ্যবশত তিনি একটি পাথর ধরে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন। দীর্ঘ ক্ষণ বরফগলা জলে সাঁতার কাটার ফলে তাঁর হাত-পা অবশ হতে শুরু করে। ভাগ্যক্রমে হোটেলের কয়েক জন কর্মী তাঁকে দেখতে পান। দড়ি ফেলে কোনও রকমে ওই তরুণকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
হাড়হিম করা সেই ভিডিয়োটি ‘জেম অফ হিমাচল’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। শুধুমাত্র সমাজমাধ্যমে খ্যাতি অর্জনের জন্য প্রাণের মায়া না করার এই প্রবণতা দেখে উদ্বিগ্ন অনেকেই। সম্প্রতি আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল লাহুল-স্পিতি অঞ্চলে। সিসুর কাছে চন্দ্রভাগা নদীতে দুই পর্যটক ভেসে যান। নিহতদের মধ্যে এক জন ঝাড়খণ্ডের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণ। এখনও এক জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সন্ধান এখনও অব্যাহত রয়েছে।