ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আদর-যত্ন নিয়ে একটি অশ্বত্থ গাছের চারা পুঁতেছিলেন বৃদ্ধা। নিয়মিত সেই গাছে জল দিতেন, কখনও কখনও আবার গাছটিকে পুজোও করতেন তিনি। ২০ বছর ধরে অশ্বত্থ গাছটিকে সন্তানের মতো বড় করেছিলেন সেই বৃদ্ধা। গ্রামের সকলেই গাছটির প্রতি বৃদ্ধার মমত্ববোধ নিয়ে সচেতন ছিলেন। নিজের জমির মাপ বোঝার জন্য বৃদ্ধার সেই সন্তানসম গাছটি কেটে ফেললেন গ্রামের এক ব্যবসায়ী। গাছটি কেটে দেওয়া হয়েছে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বৃদ্ধা। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘নেহরা জি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক বিশাল অশ্বত্থ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছের গুঁড়ির কাটা অংশে মাথা ঠুকে কান্নাকাটি করছেন এক বৃদ্ধা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি এই ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের রাজনন্দগাঁও জেলার সারাগোন্ডি গ্রামে ঘটেছে।
২০ বছর আগে ওই বৃদ্ধা অশ্বত্থ গাছের চারা মাটিতে পুঁতেছিলেন। গাছটিকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন তিনি। ২০ বছর ধরে যত্ন নিয়ে চারাগাছটিকে বড় করেছেন। নিয়মিত সে গাছে জল দিতেন, কখনও আবার পুজোও করতেন। গ্রামবাসীরাও সকলে বিষয়টি নিয়ে সচেতন ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ সেই গাছটি কেটে ফেলা হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গাছটি কেটে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন মেমন নামে এক ব্যক্তি। সেই গ্রামেরই বাসিন্দা তিনি। জমি নিয়ে কারবারি চলে মেমনের। অভিযোগ, নিজের জমির সঙ্গে সরকারের জমি একই তলে আনতে চেয়েছিলেন মেমন। দুই জমির মাঝখানে ছিল বৃদ্ধার অশ্বত্থ গাছটি। তাই কোনও অনুমতি না নিয়ে সকলের অগোচরে গাছটি কেটে ফেলেছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন প্রকাশ কোসারে নামের এক তরুণ। কাঠ কাটার যন্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যেই গাছটি কেটেছিলেন। পরে প্রমাণ লোপাট করতে সেই যন্ত্রটি নদীতে ফেলে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান দু’জন। গ্রামবাসীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয় তাঁদের। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন দোষ স্বীকার করেছেন মেমন। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে তিনি গাছটি কেটেছিলেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ভিডিয়োটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘হৃদয়বিদারক দৃশ্য।’’