ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
সোফার উপর পা ছড়িয়ে খাওয়াদাওয়া সারছিলেন দম্পতি। তাঁদের মাঝে বসেছিল একরত্তি। হামাগুড়ি দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয় তার। সন্তানের বিপদ দেখে ব্যতিব্যস্ত হলেন না তার বাবা-মা। বরং গোল বাঁচানোর কায়দায় পা দিয়ে বাচ্চাটিকে তুলে আবার সোফার উপর ঠেলে দিলেন তাঁরা। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘ক্লিনটন’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক শিশুর উপর পা চাপিয়ে রয়েছেন দম্পতি। পা দিয়ে ঠেলে আবার শিশুটিকে সোফায় তুলে দিলেন তাঁরা। আসলে, সোফায় আরাম করে বসে টিভি দেখতে দেখতে খাওয়াদাওয়া করছিলেন তাঁরা। দু’জনের মাঝে বসেছিল তাঁদের সন্তান। পা মেলে বসে থাকলেও পরে তা মুড়ে বসে পড়েন তরুণী। খুদেও তার সামনে খোলা মাঠের দেখা পেয়ে যায়।
হামাগুড়ি দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সে। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে সোফা থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু তা দেখে ভয় পেলেন না শিশুটির বাবা-মা। বরং খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে গোল বাঁচানোর কায়দায় নিজেদের সন্তানকে রক্ষা করলেন তাঁরা। তরুণী তাঁর এক পা লম্বা করে সন্তানের বুকের কাছে রাখলেন। শিশুর পিঠের উপর পা রাখলেন তরুণ। তার পর কায়দা করে দু’জনে মিলে খুদেকে আবার সোফায় টেনে তুললেন।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এক জন নেটাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘‘ সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে এমন দায়সারা ভাব থাকলে চলে! আপনাদের সন্তানের তো বড় কোনও ক্ষতিও হতে পারত। কিন্তু আপনাদের তো দেখছি কোনও হেলদোল-ই নেই। ও তো মানুষ! ফুটবল তো নয় যে পা দিয়ে ও ভাবে ধরে ফেললেন।’’