ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
জঙ্গলের অনতিদূরে রয়েছে বসতি। দিন কয়েক আগে এক মহিলাকে আক্রমণ করেছিল একটি চিতাবাঘ। সেই ঘটনার পর বাসিন্দারা ভয়ে তটস্থ ছিলেন। স্থানীয়দের বিপন্মুক্ত করতে চিতাবাঘ ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিলেন বনবিভাগের আধিকারিকেরা। ছাগলকে টোপ হিসাবে কাজে লাগিয়ে চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা তৈরি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ছাগল শিকার করার সুযোগই পেল না চিতাবাঘ। তার পরিবর্তে সেই ফাঁদে পা দিলেন এক তরুণ।
ছাগল চুরি করতে গিয়ে তিনি আটকে পড়লেন খাঁচার ভিতর। সারা রাত চিতাবাঘ ধরার খাঁচায় বন্দি থাকার পর পরের দিন সকালে বনবিভাগের কর্মীরা তাঁকে খাঁচা থেকে বার করলেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘সচিন গুপ্ত’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, একটি খাঁচার ভিতর বসে রয়েছেন এক তরুণ। খাঁচাটি বাইরে থেকে আটকে গিয়েছে বলে বেরোতেও পারছেন না তিনি। এই ঘটনাটি সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে ঘটেছে।
বনবিভাগ সূত্রে খবর, সেই তরুণের নাম প্রদীপ। চিতাবাঘ ধরার জন্য ছাগলের টোপ দেখিয়ে খাঁচা তৈরি করে রেখেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। প্রদীপ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি। ছাগল চুরি করার জন্য খাঁচার ভিতর ঢুকে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে খাঁচাটি বন্ধ হয়ে যায়।
সারা রাত খাঁচার ভিতরেই বন্দি অবস্থায় থাকেন প্রদীপ। পরের দিন সকালে বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাঁচা থেকে প্রদীপকে বার করেন। বনবিভাগের কর্মীদের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় থাকার দরুণ বন দফতরের আধিকারিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছিলেন প্রদীপ। স্থানীয় পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।