ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিমান উড়তে দেরি হওয়ায় কারণে যাত্রীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছিল বিমান সংস্থা। কিন্তু সেই খাবারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল যাত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পুণে বিমানবন্দরে। বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে বিমান সংস্থা। ঘটনাটির একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
জানা গিয়েছে, পুণে বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের একটি বিমানে চড়ার কথা ছিল ওই যাত্রীদের। কিন্তু বিমান উড়তে বিলম্ব হওয়ায় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছিল বিমান সংস্থাটি। খেতে দেওয়া হয়েছিল বিরিয়ানি। কিন্তু সেই খাবারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যাত্রীদের একাংশ। বিমান সংস্থার এক কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। জোর করে ওই কর্মীকে সেই বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, স্পাইসজেটের এক গ্রাউন্ড স্টাফকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন উত্তেজিত যাত্রীরা। এক যাত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই খাবার মানুষে খায়? আমরা মানুষ না জানোয়ার? তোকেও এই বিরিয়ানি খেতে হবে।’’ এর পর বসিয়ে জোর করে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয় স্পাইসজেটের ওই কর্মীকে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করে যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্পাইসজেট। বিমান সংস্থার দাবি, যে খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল তা তাজা এবং ভাল মানের ছিল। স্পাইসজেট বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘খাবার একজন অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে আনানো হয়েছিল। ওই বিক্রেতা কেবল স্পাইসজেটকেই নয়, টার্মিনালের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা এবং গ্রাহকদের প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করে।’’ একই সঙ্গে সংস্থার কর্মীদের প্রতি যাত্রীদের আচরণের নিন্দা করে স্পাইসজেট আরও বলেছে, ‘‘আমাদের কর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের কর্মীদের প্রতি যাত্রীদের আচরণ অসমর্থনযোগ্য এবং নিন্দনীয়। নির্যাতন সত্ত্বেও আমাদের কর্মীরা ভদ্র ভাবে পরিস্থিতি সামলেছেন।’’ এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কর্মীদের পাশে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ।
পুরো ঘটনার ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘অ্যাভিয়েশননিউজ়’ নামের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। ভিডিয়োটি দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। যাত্রীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তাঁরা। উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘কোনও শিষ্টাচার নেই। বিমানবন্দরের কর্মীদের হয়রানি এবং অপমান করে কী লাভ?’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘কী জঘন্য আচরণ! আজকাল অনেক মানুষ তাঁদের বোধবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন।’’