ছবি: সংগৃহীত।
পরিবারের অপছন্দে প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। বিয়ের চার মাস কাটতে না কাটতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে তরুণীকে ‘অপহরণ’ করে আনলেন তাঁর আত্মীয়েরা। এমনটাই অভিযোগ। মেয়েকে তুলে আনার সময় তাঁর শ্বশুরবাড়ির কুটুম্বদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে এলেন তরুণীর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যেরা। তেলঙ্গানার মেদচাল-মালকাজগিরি জেলার কিসারার ঘটনা। সেই ঘটনারই একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তরুণীর শ্বশুরবাড়ির সামনে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তরুণীকে কয়েক জন ব্যক্তি টেনেহিঁচড়ে বার করে আনছেন। তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দিতে এলেই চলছে নির্বিচারে লাঠিপেটা। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে তরুণীর নাম শ্বেতা ও তাঁর স্বামীর নাম প্রবীণ। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও প্রবীণ এবং শ্বেতা প্রেম করে বিয়ে করেন। গত মঙ্গলবার, শ্বেতার আত্মীয়েরা প্রবীণের বাড়িতে হামলা চালান। প্রবীণের অভিযোগ, তাঁর পরিবারের সদস্যেরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তাঁদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। জোর করে শ্বেতাকে টেনে নিয়ে যান তাঁর বাপের বাড়ির আত্মীয়েরা।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন কয়েক জন পুরুষ ও মহিলা। শ্বেতা যেতে না চাওয়ায় রাস্তায় পড়ে গড়াগড়ি খেতে থাকেন। তাঁকে জোর করে গাড়িতে টেনে তোলা হয়। বাধা দিতে এলে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেন এক ব্যক্তি। প্রবীণের বাড়ির এক মহিলা সদস্যকে দেখা যায় তিনি বাড়ির উঠোনে হঠাৎ করে পড়ে যান। শুয়ে শুয়ে কাতরাতে থাকেন। ভিডিয়োটি ‘নেক্সটমিনিটসনিউজ়৭’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। শ্বেতার বাবা-মায়ের ধারণা প্রবীণের কোনও সঠিক পেশা নেই। উভয় পরিবার একই বর্ণের এবং আত্মীয়ের সম্পর্ক রয়েছে তাঁদের মধ্যে। প্রবীণের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।