বিধাননগরের বিভিন্ন থানায় এই ধরনের প্রতারণার অনেক অভিযোগ এসেছে।
চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। ধরাও পড়ছে একের পর এক চক্র। এমনকি, একটি ঘটনায় তো খোদ এক সরকারি কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও হুঁশ ফেরেনি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। এ বার এক তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতের নাম গোবিন্দ ঘোষ।
পুলিশ জানায়, এ রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব ও কন্ট্রোলার শৈবাল চক্রবর্তী ওই প্রতারণার অভিযোগটি দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগে জানানো হয়েছে, ওই দফতরে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু নিয়োগপত্রটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, সেটি ভুয়ো। তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে সোদপুরের ঘোলার বাসিন্দা গোবিন্দ তাঁকে ওই নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন। এর পরেই গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গোবিন্দ ওই নিয়োগপত্র কারও কাছ থেকে জোগাড় করেছিলেন, না কি নিজেই তৈরি করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এর পিছনে বড় কোনও চক্র থাকতে পারে। সে বিষয়ে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।
এর আগেও বিধাননগরের বিভিন্ন থানায় এই ধরনের প্রতারণার অনেক অভিযোগ এসেছে। একাধিক চক্রও গ্রেফতার পড়েছে। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষের অনেকেই যে সাবধান বা সতর্ক হননি, এই ঘটনাই তার উদাহরণ। পুলিশ সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবক-যুবতীদের নিশানা করছে প্রতারকেরা।