নদিয়ায় ধৃত বাংলাদেশি মহিলারা। —নিজস্ব চিত্র।
নদিয়ার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে সেখান দিয়েই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা। তবে বাংলাদেশ যাওয়ার আগেই নদিয়ার ধানতলা থেকে ১০ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছ’জন মহিলা এবং চার জন পুরুষ। কারও কাছে বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার অধীনস্থ ধানতলা থানার বহিরগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলগাছি গ্রামে অভিযান চালায়তাদের একটি দল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই অভিযানে হাতেনাতে ১০ অনুপ্রবেশকারীকে ধরা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ভারতীয় দালালদের সহায়তায় নদিয়ার সীমান্ত দিয়ে এ রাজ্যে ঢোকেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে তাঁরা ভিন্রাজ্যে বিভিন্ন কাজ করছিলেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কড়া নজরদারি এবং রাজ্যের তৎপরতা বাড়ায় বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ১০ জন। গত কয়েক দিন ধরে নদিয়ার কুলগাছি গ্রামে একটি আশ্রয়ে ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা। রবিবার গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ও পারে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের বিশেষ দল গৌরীবাগ ব্রিজে়র কাছে অভিযুক্তদের আটকায়। কারও কাছেই বৈধ কোনও কাগজপত্র না থাকায় গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ১০ বাংলাদেশির নাম ফারজানা মোল্লা, নাজমিন মোল্লা, আদারি মোল্লা, রিক্তা মোল্লা, সাথী মোল্লা, রাবিয়া মোল্লা, শমীম মোল্লা, মুরাদ মোল্লা, ইকবাল মোল্লা এবং আজিম মোল্লা। সকলের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে ১০ জনকেই ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কয়েক দিনের মধ্যে এই ধানতলা এলাকা থেকে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতীয় দালালরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করছেন অনুপ্রবেশকারীদের। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় এই ‘দালাল চক্র’ বেশ সক্রিয় বলে খবর মিলেছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠালেও দালালদের চক্র ভাঙা জরুরি। না হলে এই সমস্যা থেকেই যাবে। আমরা পদক্ষেপ করছি।’’