Jnaneswari Express

জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে এখনও অশনাক্ত ২৩টি দেহ, সরকারি সাহায্য পায়নি পরিবারগুলি

২০১০ সালের ২৮ মে রাত্রি দেড়টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের সরডিহা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস মাওবাদী নাশকতায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ১৮:১৮
Share:

দুর্ঘটনাগ্রস্ত জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ফাইল চিত্র।

পেরিয়ে গিয়েছে ১১ বছর। কিন্তু জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ২৩ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করণ সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁদের পরিবার মৃত্যুর শংসাপত্র পায়নি। তারা তাই সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য আবেদন চালিয়ে গিয়েছে মৃত ২৩ জনের পরিবার। এর মধ্যে দু’টি পরিবার ঝাড়গ্রাম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত জানিয়েছেন, তাঁর দুই মক্কেল তিন জনের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। কলকাতার হেয়ার স্ট্রিটের বাসিন্দা সুরেন্দ্র সিংহের স্ত্রী নিলম এবং ছেলে রোহিত সিংহকে দুর্ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর আর এক ছেলে রাহুলের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।

হাওড়ার বাসিন্দা যূথিকা অট্ট আবেদন করেছেন, তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ওই দুর্ঘটনার পর থেকে। এ ছাড়াও মহম্মদ মহিদুল্লার ভাই নিখোঁজ রয়েছেন। রাকেশ বাঁকড়ার স্ত্রী ও দুই মেয়েও নিখোঁজ। এমন ২৩ জন নিখোঁজের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে থাকলেও তাংদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পারা যায়নি। মেলেনি মৃত্যুর শংসাপত্র। ২০১৮ সালে সুরেন্দ্র এবং যূথিকা ঝারগ্রাম আদালতে তাদের পরিজনদের নিখোঁজের বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানালেন আইনজীবী তীর্থঙ্কর।

Advertisement

২০১০ সালের ২৮ মে রাত্রি দেড়টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের সরডিহা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস মাওবাদী নাশকতায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ১৪৯ জন মারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে থেকে ২৩ জনের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। দেহগুলি শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার লক্ষ্যে পরিজনদের কাছ থেকে একাধিক বার রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল জানা যায়নি। তারই মধ্যে উঠে এসেছে কলকাতার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরীকে জাল ডিএনএ রিপোর্ট পেশ করে ‘মৃত’ দেখিয়ে তার পরিজনের চাকরি পাওয়ার ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন