রাজ্যে মুক্তি ১৮ বন্দির

জলপাইগুড়ি, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বারুইপুর ও দমদম সেন্ট্রাল জেলের ১২ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

একাধিক বার মুক্তির আশা জেগেছিল। কিন্তু আইনি জটে দীর্ঘদিন কারাগারের বাইরের জগৎ দেখা হয়নি কর্মা, অষ্টাঙ্গ, আনোয়ার, সতুদের। এত দিনে তাঁরা আবার মুক্ত পৃথিবীকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

Advertisement

জলপাইগুড়ি, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বারুইপুর ও দমদম সেন্ট্রাল জেলের ১২ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার। সেই তালিকায় রয়েছেন লালগোলা মুক্ত সংশোধনাগারের পাঁচ এবং দুর্গাপুর মুক্ত সংশোধনাগারের এক বন্দিও। সাতটি জেলে ১৮ জন বন্দির মুক্তির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে কারা দফতরের খবর। এ দিনই ছাড়া পেয়েছেন কয়েক জন।

একসঙ্গে এত জন যাবজ্জীবন দণ্ডিত বন্দি শেষ কবে মুক্তি পেয়েছেন, মনে করতে পারছেন না কারা দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, ওই সব বন্দির মুক্তির জন্য কারা দফতর একাধিক বার সক্রিয় হলেও নানান আইনি জটিলতায় মুক্তি আটকে গিয়েছিল। ওই বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের ছাড়পত্র মেলে মঙ্গলবার। তার পরে বুধবার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় কারা দফতর।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধনখড় যাচ্ছেন বিধানসভায়, সঙ্গে কাউকে পাবেন কি?

এ দিনের সিদ্ধান্তের পরে আরও শতাধিক বন্দির মুক্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ‘সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড’ বা সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির আচার-আচরণ কেমন, কতটা বদল হয়েছে মানসিকতায়, যে-অপরাধে তিনি জেল খাটছেন, এত দিনে তার যথেষ্ট দণ্ডভোগ হয়েছে কি না, মুক্তির ক্ষেত্রে এই সব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্ব পায় পুলিশি রিপোর্টও। সাধারণত ১৪ বছর জেল খাটার পরে এই সব বিষয়ে তাদের বক্তব্য রিপোর্ট আকারে জমা দিলে সরকারের সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বন্দির মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন