banarhat

বকেয়া ডিএ, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে তৃণমূলের শিক্ষা সেল গণপদত্যাগ বানারহাটের ১৮ শিক্ষকের

বর্তমানে দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষকসংখ্যা ২১। তার মধ্যে ১৮ জন সোমবার পদত্যাগ করেন। যদিও এ বিষয়ে দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষা সেলের সভাপতি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৯
Share:

রাজ্য সরকারের বঞ্চনা, বকেয়া ডিএ প্রদান এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে দাবি শিক্ষকদের। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলে কর্মবিরতির চলাকালীন তৃণমূল শিক্ষা সেল থেকে গণপদত্যাগ করলেন বানারহাটের একটি হাইস্কুলের ১৮ শিক্ষক। যাকে ঘিরে জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পদত্যাগকারী শিক্ষকদের দাবি, স্বচ্ছ নিয়োগ এবং বকেয়া ডিএ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন।

Advertisement

সোমবার তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন থেকে পদত্যাগপত্র করেন বানারহাট ব্লকের দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলের শিক্ষা সেলের সভাপতি হাবিবুল ইসলামের হাতে তাঁদের পদত্যাগপত্র তুলে দেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের বঞ্চনা, বকেয়া ডিএ প্রদান এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে দাবি তাঁদের।

বর্তমানে দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষকসংখ্যা ২১। তার মধ্যে ১৮ জন সোমবার পদত্যাগ করেন। যদিও এ বিষয়ে দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষা সেলের সভাপতি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘আজ (সোমবার) আমরা ১৮ জন সদস্য শিক্ষা সেলের সভাপতির হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছি। মূলত রাজ্য জুড়ে নিয়োগ নিয়ে যা সমস্ত দুর্নীতি হয়েছে, তার সুবিচারের জন্য এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শিক্ষা সেল থেকে ইস্তফা দিলাম আমরা।’’ হরেকৃষ্ণ রায় নামে দুরামারি হাইস্কুলের এক শিক্ষাকর্মী বলেন, ‘‘স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী-সহ ২৭ জন সদস্য রয়েছেন। তার মধ্যে আজ (সোমবার) আমরা ১৮ জন শিক্ষাসেল থেকে ইস্তফা দিলাম। ডিএ নিয়ে বঞ্চনার শিকার হয়েছি আমরা। মূলত সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, আজ (সোমবার) আমরা কর্মবিরতিও পালন করছি।’’

Advertisement

স্কুলের প্রধান শিক্ষিক সজলকান্তি সরকার অবশ্য এই বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মবিরতির বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা এসেছে। যদি কেউ সেই সরকারি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সরকারি নির্দেশ পালন করা আমার দায়িত্ব। তাই আমার স্কুলে যথারীতি ক্লাস চলছে। শিক্ষা সেল থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি আমার গোচরে নেই।’’ শিক্ষা সেলের জেলা আহ্বায়ক অঞ্জন দাস জানিয়েছেন, কোনও ইস্তফাপত্র পাননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও আমার কাছে কোনও পদত্যাগপত্র পৌঁছয়নি। তাই এখনই কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন