SIR in West Bengal

রাজ্যের ২২০৮টি বুথে কোনও মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারের নাম নেই! জানাল নির্বাচন কমিশন, শীর্ষে কোন জেলা?

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২২০৮টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ, ওই সব বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:০৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাজ্যের দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত ভোটার নেই! নেই একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারও। এ বার হিসাব দিয়ে এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২২০৮টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ, ওই সব বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এই ধরনের বুথ যে সমস্ত জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানকার ৭৬০টি বুথে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া। সেখানে ২২৮টি বুথে সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মুর্শিদাবাদ (২২৬) ও মালদহ (২১৬)। একেবারে শেষের দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার (৩), কোচবিহার (২), দার্জিলিং (২), কালিম্পং (১), উত্তর কলকাতা (১) এবং পশ্চিম বর্ধমান (১)।

Advertisement

তবে এই ২২০৮টি বুথ ছাড়াও রাজ্যে এমন বহু বুথ রয়েছে যেখানে হাতে গোনা কয়েকটি এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসেনি। বাকি প্রায় সমস্ত ফর্মই জমা পড়েছে। একটি মাত্র ফর্ম ফেরত আসেনি এমন বুথের সংখ্যা ৫৪২। দু’টি ফর্ম জমা পড়েনি এমন বুথ রয়েছে ৪২০টি। সেই হিসাবও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসআইআর-এর প্রক্রিয়াগুলি সাত দিন করে পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগে বলা হয়েছিল, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তার পর ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কাজ। খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ এবং আপত্তি কমিশনের কাছে জানানোর সুযোগ মিলবে। খসড়া তালিকা সংক্রান্ত সমস্ত আপত্তি, অভিযোগ এবং দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, বিতর্কের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে (হিয়ারিং) ডাকা এবং আলোচনাসাপেক্ষে সন্দেহ দূর করার কাজ ইআরও-রা করবেন ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা ভাল করে খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত করার জন্য কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। তার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement