বাস থেকে ধৃত নারী পাচারকারী

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম পঙ্কজ বিশ্বাস। বাড়ি পেট্রাপোল থানার ছয়ঘড়িয়া এলাকায়। তিনি নারী পাচারকারীর সঙ্গে যুক্ত। ওই তরুণীর বাড়ি বাংলাদেশে। তরুণীকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। আদালতের কাছে পুলিশ আবেদন করেছে, ওই তরুণীকে যেন একটি হোমে পাঠানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০১:১৮
Share:

ধৃত: পঙ্কজ বিশ্বাস।

বাসের মধ্যে পাশাপাশি বসেছিলেন এক যুবক ও এক তরুণী। তরুণীর পরণে লাল রঙের চুড়িদার ও সবুজ রঙের ওড়না। তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ।

Advertisement

দেখে সন্দেহ হয় বাসের মধ্যে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের। বাড়ি জি়জ্ঞাসা করাতে জোটে যুবকের মুখ ঝামটা। সন্দেহ বাড়ে। এরপরেই তরুণীকে নিয়ে বাস থেকে নেমে পালাতে যায় যুবক। ছাড়ার পাত্র নন প্রসেনজিৎও। ওই যুবককে জাপটে ধরেন। শুরু হয় টানা হ্যাঁচড়া। এমন কাণ্ড দেখে স্থির থাকতে পারেননি বাসযাত্রীরাও। তাঁরাও নেমে আসেন। হাত ছেড়ে পালায় যুবক। পিছু নেন প্রসেনজিৎ। এরপরেই তাকে ধরে ফেলা হয়।

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর কালুপুর বাজার এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম পঙ্কজ বিশ্বাস। বাড়ি পেট্রাপোল থানার ছয়ঘড়িয়া এলাকায়। তিনি নারী পাচারকারীর সঙ্গে যুক্ত। ওই তরুণীর বাড়ি বাংলাদেশে। তরুণীকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। আদালতের কাছে পুলিশ আবেদন করেছে, ওই তরুণীকে যেন একটি হোমে পাঠানো হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন প্রসেনজিৎ। সে সময় বাসে পঙ্কজকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। এরপরেই ওই ঘটনা। পুলিশ অফিসার চৈতন্য মণ্ডল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবক ও তরুণীকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে প্রসেনজিতের সাহসিকতার প্রশংসা করছেন পুলিশ অফিসার। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে তাঁকে ভাল বেতনের কাজ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সে জন্যই তিনি এ দেশে এসেছেন। চোরাপথে আসার জন্য দালালকে ৮০০ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। এ দেশে অবশ্য সে বুঝতে পারে সে একটি চক্রের খপ্পরে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রসেনজিৎ তাঁকে বাঁচান।

প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘বাসের মধ্যে ওদের কথা শুনে সন্দেহ হয়। সে কারণেই শেষ পর্যন্ত লেগে ছিলাম। একটি মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম ভেবে ভাল লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন