অতসী হালদার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
স্কুলে ফোন করে নিজেই নিজের বিয়ে রুখল বছর ষোলোর নাবালিকা।
সামনেই পরীক্ষা ছিল তার। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিল মেয়ে। কিন্তু বাবা চান মেয়ের বিয়ে দিতে। পাত্র ঠিক করে বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। উপায় না দেখে মেয়ে ফোন করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সব জানায়। প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিয়ে বন্ধ করেছেন ওই নাবালিকার। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার পালেরচক গ্রামে।
জামতলা ভগবানচন্দ্র হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে অতসী হালদার। আজ, বুধবার থেকে ক্লাসের পরীক্ষা শুরু তার। কিন্তু বাবা সঞ্জয় হালদারের চিন্তা মেয়ের বিয়ে নিয়ে। চার মেয়ের মধ্যে বড় অতসীই। বাবার জোরাজুরিতেই সোমবার সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে বসতে হয়েছে তাকে। মেয়ে পছন্দ হয় পাত্রপক্ষের। মেয়েকে পড়া ছেড়ে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করতে বলেন বাবা।
দিশাহারা মেয়েটি কী করবে বুঝে উঠতে না পেরে ফোন করে স্কুলে। প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল সব শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হন। স্কুল থেকেই ফোন করা হয় বিডিওকে। বিডিও ঘটনাটি জানান স্থানীয় থানাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবার চাপের মুখে পড়ে সোমবার বাড়ি ছে়ড়ে থানায় চলে আসে অতসী। থানা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিডিও অফিসে। সেখান থেকে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান প্রধান শিক্ষক। শান্তনু বলেন, ‘‘মেয়েটিকে নিয়ে আমরা ওর বাড়ি যাই। বাবা বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু বাড়িতে ইতিমধ্যেই ওর উপরে অত্যাচার হয়েছে। এমনকী, মেয়েটির মায়ের উপরেও অত্যাচার করা হয়েছে।’’ এই অবস্থায় ওই কিশোরীকে তাঁদের সঙ্গে ফিরিয়ে আনেন শান্তনুরা। কুলতলির বিডিও বিপ্রতীম বসাক বলেন, ‘‘আপাতত ওকে চাইল্ড লাইনে রাখা হবে।’’