Joynagar Murder

তৃণমূলের সইফুদ্দিন খুনে লাখ টাকার সুপারি দেওয়া হয়! জয়নগরকাণ্ডে রুজু হল মোট তিনটি মামলা

সকালে কোন সময় সইফুদ্দিন লস্কর বাড়ি থেকে বার হন, কখন নমাজ পড়তে যান, সবই জানা ছিল খুনিদের। অন্তত দিন চারেক ধরে সইফুদ্দিনের উপর কড়া নজরদারি করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১০:২৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে হত্যা করতে পারে ভাড়াটে খুনিরা। তদন্ত শুরুর প্রথমেই সেটা আন্দাজ করছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার পুলিশের একটি সূত্রে খবর, সইফুদ্দিনকে খুনের জন্য এক লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। আর খুনিরা সম্ভবত বাইরের। এ নিয়ে তদন্তের মধ্যে মোট তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একটি মামলা সইফুদ্দিন খুনের, একটি মামলা রুজু হয়েছে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এবং তৃতীয় মামলা হয়েছে একের পর এক বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায়।

Advertisement

সোমবার ভোরে খুন হন সইফুদ্দিন। দিনভর তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, আচমকা কেউ রাগের বশে তৃণমূল নেতাকে খুন করেননি। খুনের নেপথ্যে রয়েছে পরিকল্পনা। সকালে যে হেতু রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা কম, তাই ওই সময়টিকে বেছে নিয়েছে আততায়ীরা। সকালে কোন সময় সইফুদ্দিন বাড়ি থেকে বার হন, কখন নমাজ পড়তে যান, সবই জানা ছিল তাদের। পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত দিন চারেক ধরে সইফুদ্দিনের উপর কড়া নজরদারি করা হয়েছে। কোন সময়ে তিনি মসজিদে যেতেন, একেবারে ঘড়ি ধরে হিসাব রাখা হয়েছিল। বস্তুত, সইফুদ্দিনের বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা এবং এলাকা ভাল করে রেইকি করা হয়েছিল।

তৃণমূল নেতার খুনে রাজনীতি নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতাই কারণ বলে দাবি করে আসছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একটি সূত্রে খবর, সইফুদ্দিনকে হত্যার জন্য তাঁর এলাকার কোনও লোক যুক্ত ছিলেন। তবে খুনটা হয়েছে ভাড়াটে খুনি দিয়ে। সেই ‘পাকা মাথার খুনিরা’ এলাকাও হাতের তালুর মতো চিনতেন। যে ভাবে খুনের পর দু’টি মোটরবাইক নিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার পরেও ধানক্ষেত চিরে খুনিরা পালাচ্ছিলেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে রাস্তাঘাট ভালই চেনা খুনিদের। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্ত নাকি পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন, তাঁর বাড়ি উস্তি এলাকা।

Advertisement

অন্য দিকে, সইফুদ্দিনের খুনের পর পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় সাহাবুদ্দিন শেখ নামে এক প্রৌঢ়কে। তাঁর স্ত্রী দাবি করেন, স্বামীও তৃণমূল করতেন। এ নিয়ে শাসকদলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, খুনের ঘটনার পর বাড়িঘর জ্বালানোর ঘটনাতেও একটি মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের আশ্বাস, অভিযুক্তরা দ্রুত ধরা পড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন