ভিনরাজ্য থেকে উদ্ধার পাচার হওয়া ৪ কন্যা

দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে পাচার হয়ে যাওয়া চার কিশোরী ও তরুণীকে উদ্ধার করে এলাকায় ফেরাল ক্যানিং ও জীবনতলা থানার পুলিশ। সোমবার রাতে আনা হয় ওই মেয়েদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০১:২১
Share:

দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে পাচার হয়ে যাওয়া চার কিশোরী ও তরুণীকে উদ্ধার করে এলাকায় ফেরাল ক্যানিং ও জীবনতলা থানার পুলিশ। সোমবার রাতে আনা হয় ওই মেয়েদের।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের শেষ দিকে ক্যানিঙের তালদির বছর কুড়ির এক তরুণীর সঙ্গে নরেন্দ্রপুরে কাজে যাওয়ার পথে আলাপ হয় সোনারপুরের চণ্ডীতলার পায়েল হালদার ওরফে রাবিয়া লস্করের সঙ্গে। পরে পায়েলের স্বামী বিশ্বজিতের সঙ্গে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ওই তরুণীর।

পায়েল-বিশ্বজিতের হাত ধরেই আত্রেয়ী পৌঁছে যায় উত্তরপ্রদেশের খুশিনগরে। সেখানে সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ-গান করত। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে তালদির বাড়িতে ওই তরুণীর সঙ্গে বেড়াতে আসে পায়েল। পায়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর জ্যাঠতুতো বোনের। তারা ওই কিশোরীর মাকে বলে, উত্তরপ্রদেশে ভাল কাজ আছে। সেই মতো তারা ওই কিশোরীকেও নিয়ে যায় সঙ্গে।

Advertisement

প্রথম প্রথম বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও পরে মেয়ের কোনও খোঁজ পাননি কিশোরীর মা। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ক্যানিং থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে নামে পুলিশ।

এই কাজে তাদের সাহায্য করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। সেই সূত্রেই জানা যায়, জয়নগরের এক বধূকেও তাঁর স্বামী হরিয়ানার রুহতক এলাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল। বধূর বাপের বাড়ি ক্যানিঙে।

মহিলার স্বামী ও ও তার এক পরিচিত রুহুল কুদ্দুস গাজি ওই বধূকে বিক্রি করে দেয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বাবা ক্যানিং থানায় অভিযোগ জানান। সেই তদন্তও চলছিল।

জীবনতলার এক কিশোরীকে এলাকার একজন কাজ পাইয়ে দেবে বলে বিক্রি করে দিয়েছিল দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনে। চারজনকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ক্যানিং থানার এসআই সামায়ুন বাসার ও জীবনতলা থানার এসআই প্রশান্ত পালের নেতৃত্বে পুলিশের দু’টি দল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় গিয়েছিল। সেখানে কয়েক দিন ধরে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে পুলিশ ওই মেয়েদের উদ্ধার করে আনে।

জানা গিয়েছে, দু’টি মেয়েকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ-গান করাত বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী পায়েল। ওই দম্পতিকে ট্র্যানজিট রিমান্ডে ক্যানিঙে নিয়ে আসা হয়েছে। জয়নগরের বধূকে বিক্রির অভিযোগে পুলিশ আগেই রুহুল কুদ্দুস গাজিকে গ্রেফতার করেছিল। তবে জীবনতলার মেয়েটিকে পাচারের অভিযোগে এখনও ধরা পড়েনি কেউ।

যে মেয়েদের নামানো হয়েছিল ভোজপুরি ও হিন্দি নাচ-গানের কাজে, তারা পুলিশকে জানিয়েছে, অনুষ্ঠান-পিছু তাদের হাতে ধরানো হতো ৫০০ টাকা। এ ছাড়া অবশ্য বেশ কিছু বকশিস মিলে যেত।

বামেদের হার। পাঁচলার জুজারসাহা পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হল বামেদের। মঙ্গলবার বাম প্রধানের বিরুদ্ধে হওয়া অনাস্থা ভোটে তৃণমূল ১৩-০ ভোটে জয়ী হয়। প্রসাশন সূত্রে খবর, এই পঞ্চায়েতে ২১ জন সদস্য। এর মধ্যে বামেদের ছিল ১২ জন। বোর্ড গঠন করেছিল বামেরা। কিন্তু গত ১৮ নভেম্বর প্রধান অপর্ণা ঘুকুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন