ভাটা-মালিকের বিরুদ্ধে নিকাশি বন্ধের নালিশ

খালে মাটি ফেলে নিকাশি বন্ধ করে রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠল এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে। ডায়মন্ড হাবরারের ১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগে কালীশঙ্করপুর খালে ওই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০২:০৫
Share:

পরিদর্শন: খাল ঘুরে দেখছেন প্রশাসনের লোকজন। ছবি: দিলীপ নস্কর।

খালে মাটি ফেলে নিকাশি বন্ধ করে রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠল এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে। ডায়মন্ড হাবরারের ১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগে কালীশঙ্করপুর খালে ওই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান সেচ দফতর ও মহকুমাশাসকের প্রতিনিধি দল।

Advertisement

সেচ দফতরের আধিকারিক কৌশিক সাহা ও মহকুমা শাসকের লোকজন খালটি ঘুরে দেখেন। প্রায় ৫০ ফুট চওড়া ওই খালটিতে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ইটভাটার মালিক ধীরেন জানাকে দফতরে আসতে বলা হয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফোনে ইটভাটা মালিক অবশ্য শীঘ্রই খালে ফেলা মাটি সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সেচ দফতরের আধিকারিকদের।

Advertisement

ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের রামরামপুর ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাইয়াপাড়া মাঝের ওই খালটি বেশ পুরনো। বর্ষায় ওই এলাকার ১, ২, ৩, ৪, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও সরিষা, পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার জমা জলও ওই খালে গিয়ে পড়ে। খালের জলে চাষের কাজও হয়। এই খালের পাশেই ধীরেনবাবুর ইটভাটা আছে। খালটি থাকায় ইটের গাড়ি যাওয়া-আসায় অসুবিধা হয়। সে কারণে তিনি মাটি ফেলে খালের উপর রাস্তা তৈরি করছিলেন বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বিষয়টি ১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিরুপমা হালদার ও রাজর্ষি দাসের নজরে আসে। তাঁরা বেআইনি ভাবে খাল ভরাটের বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। কাউন্সিলরদের আশঙ্কা, ওই খালের জল নিকাশি বন্ধ হলে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড বর্ষায় জলমগ্ন হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন