Girl Trafficking

জয়নগরের নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দিল্লি পাড়ি, পানিপত থেকে ধৃত হরিয়ানার যুবক

গত ৩ এপ্রিল জয়নগরের এক জন তাঁর নাবালিকা মেয়ে নিখোঁজ বলে মিসিং ডায়েরি করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জয়নগর থানা। পুলিশ জানতে পারে, ওই নাবালিকাকে এক যুবক নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০৬
Share:

নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক। প্রতীকী চিত্র।

পুলিশের তৎপরতায় নয়াদিল্লি থেকে উদ্ধার হল জয়নগরের নিখোঁজ নাবালিকা। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার এক যুবককে।

Advertisement

গত ৩ এপ্রিল জয়নগরের এক জন তাঁর নাবালিকা মেয়ে নিখোঁজ বলে মিসিং ডায়েরি করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জয়নগর থানা। পুলিশ জানতে পারে, ওই নাবালিকাকে এক যুবক নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়েছে। এর পর জয়নগর থানার সাব ইন্সপেক্টর তন্ময় দাসের নেতৃত্বে লেডি কনস্টেবল সান্ত্বনা দাস খাঁ এবং নয়না অধিকারী এবং কনস্টেবল শক্তিপদ টুডু-সহ পুলিশের একটি বিশেষ দল গত ১৯ এপ্রিল রওনা দেয় নয়াদিল্লি। সেখানে হরিয়ানা পুলিশ এবং দিল্লির একটি সংস্থার সহযোগিতায় একটি বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে জেরা করে হরিয়ানার পানিপত থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত মদন কুমার হরিয়ানার পানিপতের বাসিন্দা। আরও জানা যায়, জয়নগর থানা গোবিন্দপুরে এক জনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ওই নাবালিকার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। অভিযোগ, মদন নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিয়ে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যায়। এর পর ওই নাবালিকাকে নয়াদিল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রাখেন যুবক। পুলিশ প্রথমে ওই ভাড়াবাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। তার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে মদনের নাম। মদনকে তাঁর বাড়ি থেকে গত ২৪ এপ্রিল গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডেও নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত যুবক-সহ নিখোঁজ নাবালিকাকে নিয়ে জয়নগর থানায় পৌঁছয় পুলিশের ওই বিশেষ দল। অভিযুক্তকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে কী কারণে তিনি ওই নাবালিকাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। উদ্ধার করা নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে হোমে। এ নিয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও চক্র আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন