মিলছে বিনা ভাড়ার অটো, ব্যবস্থা খাবারেরও

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিনা খরচে গাড়ি করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। আবার যে সমস্ত অভিভাবকেরা পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করছেন তাঁদের খাবারও দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৭ ০১:২২
Share:

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিনা খরচে গাড়ি করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। আবার যে সমস্ত অভিভাবকেরা পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করছেন তাঁদের খাবারও দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

বসিরহাটের দক্ষিণ বিধায়ক ও বাদুড়িয়ার পুরপ্রধানের এমন আয়োজনে বেশ খুশি পরীক্ষার্থীরা থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা।

বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য বসিরহাটে ২৫টি অটো ঠিক করে দিয়েছেন। রূপায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৈশালী মিত্র নামে পরীক্ষার্থীরা বলে, ‘‘গাড়ি করে পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় খুবই সুবিধা হচ্ছে। ঠিক সময়ে টেনশন ছাড়াই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারছি।’’ না হলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির ভাড়া নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতো বলে জানায় তারা। দীপেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘নিশ্চিন্তে যাতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসছে ওরা। ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়াটা খুবই জরুরি।’’ ভাড়া করা প্রত্যেক অটোর পিছনে লেখা হয়েছে ‘বিধায়কের দেওয়া বিনা ভাড়ার অটো।’

Advertisement

বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহ আবার লক্ষ টাকা খরচ করে কাটিয়াহাট, কেওটশা, চণ্ডীপুর, যদুরহাটিতে দিলীপকুমার মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউটের সামনে শিবির করেছেন। ওই শিবিরে অভিভাবকেরা তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সেখানে পরীক্ষার দিনগুলিতে রকমারি খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানীয় জল থেকে শুরু করে মিষ্টি, চা, বিস্কুট, লুচি-আলুরদম, কচুরি-তরকারি, চিকেন কিংবা মটন ফ্রায়েড রাইস—কী নেই মেনুতে!

তুষারবাবুর কথায়, ‘‘ছোট থেকেই দেখেছি ছেলে-মেয়েরা যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়, তখন বাবা-মায়েরা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করেন। অনেক সময়ে পরীক্ষার জন্য সন্তানদের তৈরি করে দিতে গিয়ে অভিভাবকদের দুপুরের খাওয়া পর্যন্ত হয় না। সে কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ পরীক্ষার দিনগুলিতে প্রায় পাঁচশো অভিভাবকদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে অভিভাবক শিখা ঘোষ, আমিনা বিবিরা বলেন, ‘‘পুরপ্রধানের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এত দিন আমাদের কথা কেউ চিন্তা করেননি। এই আয়োজনে আমরা
সকলেই খুশি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন