cheating

পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আধার তথ্য হাতিয়ে টাকা লুট? দম্পতির অভিযোগ কাকদ্বীপে

পাকা বাড়ি করে দেওয়ার নাম করে আধার তথ্য হাতিয়ে দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের থানগড়া এলাকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ১২:১১
Share:

আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

পাকা বাড়ি করে দেওয়ার নাম করে আধার তথ্য হাতিয়ে দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের ১২ নম্বর দক্ষিণ থানগড়া এলাকায়। ওই কাণ্ডে হারউড পয়েন্ট উপকূল থানা এবং কাকদ্বীপ সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

কাকদ্বীপের ১২ নম্বর দক্ষিণ থানগড়া এলাকার বাসিন্দা উত্তম বেরা এবং তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বেরার অভিযোগ, পাকা বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন তাঁদের আত্মীয় তথা স্থানীয় ১২ নম্বর দার উস সালাম মাধ্যমিক মাদ্রাসার শিক্ষক বিষ্ণুপদ হালদার। উত্তমের অভিযোগ, তাঁর আধার কার্ডের প্রতিলিপির উপরে টিপ সই করিয়ে নিয়েছিলেন বিষ্ণুপদ। তাঁর দাবি, এর কিছু দিন পর তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপদর বিরুদ্ধে উত্তমের অভিযোগ, ‘‘উনি আমাকে নিজের সংস্থার তরফে পাকা বাড়ি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। তার পর টিপসই নেন। এর পর আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রথমে সালিশি সভা বসেছিল। এর পর আমি থানায় যাই। আমি টাকা ফেরত চাই।’’ বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উত্তম।

উত্তমের আধার কার্ডের প্রতিলিপিতে টিপসই করানোর কথা স্বীকার করলেও টাকা তুলে নেওয়ার কথা মানতে চাননি অভিযুক্ত বিষ্ণুপদ। তাঁর দাবি, ‘‘আমি টাকা নিইনি। আমার নিজেরই টাকা এ ভাবে চুরি হয়েছে। টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কাণ্ডে এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন