TMC

বিক্ষোভের মুখে ভাইজান, গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলল তৃণমূল

ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে চড়েই চলে যান আব্বাস। তার পর তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও বেধে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৪৮
Share:

আব্বাস সিদ্দিকীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় স্থানীয় বাসিন্দারা আব্বাসের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তবে তার পিছনে তৃণমূলের হাত ছিল বলে অভিযোগ আব্বাসের সমর্থকদের। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও তা অস্বীকার করেছে আইএসএফ।

Advertisement

বুধবার দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বরুণী এলাকায় একটি মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যান আব্বাস। সেই সময় এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি পীরজাদা। তাঁকে গাড়ি থেকেও নামতে দেখা যায়নি। বিক্ষোভের সময় তৃণমূলকর্মীরা আব্বাসের গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ আইএসএফ কর্মীদের। ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে চড়েই চলে যান আব্বাস। তার পর তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও বেধে যায়।

স্থানীয় তৃণমূলকর্মী আবুল মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘এখানে মেয়েদের জন্য একটি মাদ্রাসা আছে। সেখানে ৬০০ জন পড়ুয়া আছে। ওর পাশেই আব্বাস সিদ্দিকি ছেলেদের জন্য একটি মাদ্রাসা করছেন। আমাদের বক্তব্য, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওখানে ছেলেদের মাদ্রাসা করা যাবে না। সেটা বলতে যাওয়ায় আমাদের মারধর করা হয়। পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার দেওয়ারও চেষ্টা হয়। অথচ আমরা শান্তিপূর্ণ আলোচনা করতেই গিয়েছিলাম।’’

Advertisement

স্থানীয় আইএসএফ কর্মী জিয়ারুলের অভিযোগ, ‘‘কিছু দুষ্কৃতী ভাইজানের গাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ভাইজানের গাড়িতে ঘুসি মারে। এক জনকে কেন এমন হেনস্থা করা হচ্ছে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement