Gangasagar

করোনার কথা মাথায় রেখে গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন

কোনও পুলিশকর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ তাঁকে সেফ হোমে পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হবে। সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৩৫
Share:

এ বার গঙ্গাসাগরে ‘দুর্ঘটনা মুক্ত মেলা’ গড়তে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।

করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে এ বারের গঙ্গাসাগর মেলায় এক গুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ‘দুর্ঘটনা মুক্ত মেলা’ গড়তে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। গোটা মেলাকে নজরদারি ক্যামেরার আওতায় রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু ব্যবস্থা।

Advertisement

গোটা মেলা চত্বরে ১২টি পুলিশ সেক্টর এবং ৭টি সাব সেক্টর থাকছে। লাগাতার টহলদারির জন্য ১০ হাজারের বেশি সিভিক ভল্যান্টিয়ার এবং অস্থায়ী হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। আপতত ৩ জন এডিজি ২ জন আইজি এবং ৩ জন ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার মেলার শুরুর আগেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে গঙ্গাসাগর মেলার পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানান সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার বৈভব তিওয়ারি। তিনি বলেন, “পুণ্যার্থীর সংখ্যা যাই হোক না কেন, নির্বিঘ্নে মেলা সারতে আমরা বদ্ধপরিকর। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রাপথেও কড়া নজরদারি চালানো হবে। যাত্রাপথের মাঝে মাঝে থাকবে মোট ১০টি বাজার জোন। মেলায় আসা প্রত্যেকটি বাস এবং জলযানে জিপিএস লাগানো হচ্ছে। এর ফলে কন্ট্রোল রুমে বসেই সেগুলি সম্পর্কে সব তথ্য পাবে পুলিশ।

মেলার ক'দিন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টদের ৬টি বিশেষ দল ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতিনিয়ত টহল দেবে। মেলার জন্য ৪৪টি ভ্রাম্যমাণ মোটরসাইকেল দলও থাকবে। ২০টি আরটি ভ্যান রাখা হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার হালদারচকে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

মেলা জুড়ে মোট ৩৬টি ওয়াচটাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সহায়তার জন্য ২০টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৭টি পুলিশ লঞ্চ ও ৬টি দ্রুত ইন্টারসেপ্টর নৌকা। পুলিশি পর্যবেক্ষণ এবং ডিউটি তদারকির জন্য একটি অ্যাপ চালু করেছে পুলিশ।

তবে করোনার কথা মাথায় রেখে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জন্য একাধিক সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পুলিশ কর্মীকে পর্যাপ্ত মাস্ক স্যানিটাইজার এবং সাবান দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে। কোনও পুলিশকর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ তাঁকে সেফ হোমে পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হবে। সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন