বসিরহাটে ‘মিষ্টি হাব’ তৈরির চিন্তা

বসিরহাটের কাঁচাগোল্লার সেই গৌরব অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার বারাসতের প্রশাসনিক বৈঠকে এসে সে কথা নিজেই তোলেন তিনি। বসিরহাটে কোনও ‘মিষ্টি হাব’ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৪
Share:

মিষ্টিসুখ: তৈরি হচ্ছে কাঁচাগোল্লা। ফাইল চিত্র

মহানায়ক উত্তমকুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়— কোনও না কোনও সময়ে সকলেই মজেছেন বসিরহাটের কাঁচাগোল্লায়।

Advertisement

তালিকা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। দীপঙ্কর দে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তু মুখোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী হালদার, চিরঞ্জিত, দেব— সকলেই বসিরহাটে এসে কাঁচাগোল্লার স্বাদে মাতোয়ারা।

বসিরহাটের কাঁচাগোল্লার সেই গৌরব অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার বারাসতের প্রশাসনিক বৈঠকে এসে সে কথা নিজেই তোলেন তিনি। বসিরহাটে কোনও ‘মিষ্টি হাব’ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। সে প্রকল্প কবে আলোর মুখ দেখবে, আদৌ দেখবে কিনা, তা সময় বলে দেবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যেই উচ্ছ্বসিত বসিরহাটের কাঁচাগোল্লা ব্যবসায়ীরা। প্রায় ষাট বছর আগে বাংলাদেশের সাথক্ষিরার এক কারিগর বসিরহাটে এসে প্রথম কাঁচাগোল্লা তৈরি করেছিলেন। জনপ্রিয়তার পারদ তার দিন দিন বেড়েছে বই কমেনি। বসিরহাটের নলেন গুড়ের সন্দেশ, কালাকাঁদ, বাটা সন্দেশদের প্রভাব-প্রতিপত্তিও কম নয়।

Advertisement

এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘রাজ্যে তো বটেই, গোটা দেশের মানুষ বসিরহাটের কাঁচাগোল্লার কথা জানেন। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে আমরা বিদেশেও এই মিষ্টি রফতানি করে দেখিয়ে দিতে পারি।’’

মাছ চাষের জন্যও নামডাক আছে বসিরহাটের। বিদেশের বাজারেও কদর আছে এখানকার চিংড়ির। বহু মানুষের রুজি-রুটি জড়িয়ে ভে়ড়ির ব্যবসার সঙ্গে। বসিরহাট, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর, হাসনাবাদের একটা বড় অংশে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বাগদা চিংড়ি, গলদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে।

প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বসিরহাটের মাছকে কেন্দ্র করে কোনও হাব করা যায় কিনা, সেটাও ভেবে দেখা জরুরি।’’ বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন