পাকড়াও: দেগঙ্গায় সিআইডি-র দল। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার পাশেই বাড়ি। সেখানেই রমরমিয়ে চলছিল ভেজাল তেলের কারবার। বুধবার দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুরে এমনই একটি বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ দেড় লক্ষ টাকা সমেত প্রচুর পরিমাণ ভেজাল তেল বাজেয়াপ্ত করলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। যাঁর বাড়িতে ওই কারবার চলছিল, সেই আবু তালেম মণ্ডল অবশ্য ফেরার।
এ দিন দুপুরে সিআইডি-র ডিএসপি পিনাকীরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে ১৬ জনের একটি দল তালেবের বাড়িতে হানা দেয়। উদ্ধার হয় নগদ ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা এবং ২১৫৬ লিটার ভেজাল তেল। সিআইডি-র এক কর্তার কথায়, ‘‘ভেজাল তেলের জাল আরও কত দূর ছড়ানো, অভিযুক্তকে ধরার পরে তা বিশদে জানা যাবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, তালেবের ঘরের থেকে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ও ২১৫৬ লিটার ভেজাল তেল উদ্ধার হয়েছে। ভেজাল সামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে। নদীয়ার পর উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গাতেও যে ভেজাল তেলের কারবার চলছে তা জানতে পেরেই এ দিন গোপনে হানা দেয় সিআইডি।
এত পরিমাণ ভেজাল তেল দেখে এ দিন আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে। স্থানীয় বাসিদা ওসমান আলি মল্লিক বলেন, ‘‘বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকার এক লিটার তেল মিলছে। দাম কম বলে আমরা তা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। কী করে বুঝব যে, এ সব ভেজাল।’’
এ দিন অভিযুক্ত আবু তালেবের ভাইপো হাসেন আলি বলেন, ‘‘কাকা এই এলাকার নিমতলা মোড়ে তেলের ঘানিতে সর্ষে ভাঙ্গিয়ে তেল বিক্রি করতেন। বছর খানেক হল, বাইরে থেকে তেল কিনে বাড়ি থেকেই ব্যবসা করছেন। কিন্তু কী ভাবে এই ভেজাল তেলের সঙ্গে যুক্ত হলেন তা বলতে পারব না।’’
এ দিন সন্ধ্যায় সব কিছু বাজেয়াপ্ত করার পরে সিআইডি-র দল দেগঙ্গা থানায় আসে। সিআইডির এক কর্তার কথায়, ‘‘এই ভেজাল তেলের জাল আরও কতদূর ছড়ানো রয়েছে অভিযুক্তকে ধরার পরে তা বিশদে জানা যাবে।’’ এই ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় হানা দেওয়ার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।