মদের দোকান করতে দেওয়া হবে না, এলাকাবাসী

পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

গাছের ডাল, ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে রবিবার সকালে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন মন্দিরবাজারের ঘাটেশ্বরা এলাকার বাসিন্দারা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্দিরবাজার শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৪
Share:

বিক্ষোভ: মন্দিরবাজারে। ছবি: দিলীপ নস্কর

গাছের ডাল, ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে রবিবার সকালে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন মন্দিরবাজারের ঘাটেশ্বরা এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

মাধবপুর থেকে যাদবপুর স্টেশনে যাওয়ার মাঝামাঝি রাস্তায় এ দিন সকাল ১১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এলে কয়েক’শো মহিলা-পুরুষ পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ মদের দোকান বন্ধ করার কথা বললে গ্রামের মানুষ শান্ত হন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরবাজারের ঘাটেশ্বরা পঞ্চায়েতে মাধবপুর স্টেশন থেকে যাদবপুর গ্রামে যাওয়ার রাস্তার পাশে দিন কয়েক আগে একটি মদের দোকান খোলা হয়। খোলার দিনই মহিলা-পুরুষেরা দোকানের উপরে হামলা চালাতে যান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ৬ ফেব্রুয়ারি কয়েক’শো মহিলা-পুরু লক্ষ্মীকান্তপুর পাওয়ার হাউজের মোড়ে আবগারি দফতরের সামনে প্রায় কয়েক ঘণ্টা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি আবগারি দফতরে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ওই ঘটনার ঠিক তিনদিনের মাথায় ফের সকালে ওই মদের দোকান খোলা হয়। সে খবর এলাকায় রটে যেতেই দলে দলে মানুষ মিছিল করে দোকানের কাছে জমায়েত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই পুলিশের গাড়ির সামনে মহিলারা বসে পড়েন। শুরু হয় বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীরা মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়ে আবেদনপত্র দেন পুলিশের হাতে। এ দিনের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত নস্কর, অরবিন্দু প্রামাণিকরা। তাঁদের দাবি, মদের দোকানটি করার সময় বলা হয়েছিল বেকারি কারখানা করা হবে। কিন্তু তা না করে জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খুলে বসা হয়েছে। অবিলম্বে এই মদের দোকান বন্ধ না হলে আন্দোলন লাগাতার চলবে। আন্দোলনে সামিল ছিলেন যাদবপুর গ্রামের সনকা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘এমনিতেই অনেক বাড়ির পুরুষেরা মদ খেয়ে এসে মহিলাদের মারধর করছে। এর জন্য অনেক সংসার নষ্ট হচ্ছে। তারপরেও এলাকায় মদের দোকান—তা মানা যায় না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওঁদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে

জানানো হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন