বেহাল খাল। —নিজস্ব চিত্র।
কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে খাল। বন্ধ হতে বসেছে জল নিকাশি। বাসন্তীর ভরতগড় বাজার থেকে ১ গরানবোস স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিমি খাল নিয়ে বর্ষার আগে চিন্তিত এলাকার মানুষ। তাঁদের ক্ষোভ, রাজ্য সরকার জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পে নতুন পুকুর, খাল খোঁড়ার কথা বলছে। কিন্তু বাসন্তীতে নতুন খাল খোঁড়া দূরের কথা, খাল সংস্কারের কাজও হচ্ছে না।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীর আনন্দাবাদ ও গরানবোস মৌজার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই খালটির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ওই খালে নিয়মিত থার্মোকলের থালা, গ্লাস-সহ নানা ধরনের সামগ্রী ফেলা হয়। অনেকে আবার খালে মাছ ধরতে জাল দিচ্ছেন। ফলে জলধারণ ক্ষমতা কমে সামান্য বৃষ্টিতেই উপচে যাচ্ছে খাল। স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ সর্দার, রইচ আলি মোল্লা, ইয়াজুল বৈদ্যদের ক্ষোভ, দীর্ঘদিন ধরে খালটির সংস্কার করা হচ্ছে না। প্রশাসনকে জানিয়ে কাজ হচ্ছে না।
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শৈবাল লাহিড়ীর দাবি, জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পে ক্যানিং মহকুমায় প্রায় ১০০ কিমি খাল সংস্কার করা হয়েছে। দাঁডিয়া, হাটপুকুরিয়াতে কাল কাটার কাজ চলছে। আরও নতুন খাল কাটা এবং সংস্কার করা হবে।
মহকুমা শাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘ওই এলাকায় একটি খাল সংস্কার নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’’