Bhangar

স্কুলের মিড ডে মিলের চাল বিতরণ নিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২০ ০২:২৯
Share:

পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। ছবি: সামসুল হুদা

স্কুলে মিড ডে মিলের চাল, আলু, ছোলা বিতরণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। কারচুপির অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ গেলে তাদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ২ ব্লকের কোঁচপুকুর এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। আপাতত প্রধান শিক্ষক ও এক গ্রামবাসীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ দিন চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের কোঁচপুকুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছিল। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, দু’কেজি চাল, দু’কেজি আলু ও এক কেজি ছোলা দেওয়ার কথা। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিমাণের তুলনায় অনেক কম খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছিলেন। এই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসী ও অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন মোল্লাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পারভিন নাহার মোল্লা ও তাঁর স্বামী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজশ করে মিড ডে মিলে কারচুপি করছিলেন।

Advertisement

বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ভাঙড় ২ যুগ্ম বিডিও পুষ্পেন দাস ও কাশীপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। দু’জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের জিরানগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০১৬ সালে একবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাত আলি মোল্লা বলেন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত ওই প্রধান শিক্ষক বার বার পার পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি একাধিকবার স্কুলের টাকা নয়ছয় করা থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রীতে কারচুপি করছেন। এ দিন তিনি পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে যোগসাজশ করে খাদ্যসামগ্রীতে কারচুপি করছিলেন। গ্রামের লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলেন।’’

যুগ্ম বিডিও বলেন, ‘‘আমরা স্কুলের মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রীতে কারচুপির প্রমাণ পেয়েছি। ওজন করে দেখা গিয়েছে, পরিমাণ কম ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। সেই মতো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন