প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং ১ ব্লকের গোপালপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ওই ব্যাক্তির নাম নন্দকিশোর সর্দার। তাঁর স্ত্রী সাগরিকা সর্দারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নিখোঁজ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি।
যে সমস্ত পঞ্চায়েত আসনে ভোট হয়েছে সেই সব পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী সোমবার ক্যানিং ১ ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন ধার্য হয়েছে। ওই ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র পঞ্চায়েত হল গোপালপুর। যেখানে বোর্ড গঠন করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭টি, নির্দল ৬টি, সিপিএম ২টি ও এসইউসিআই ৩টি আসন পেয়েছে। তৃণমূলের একাংশ জানায়, বোর্ড গঠনে নির্দলের দিকে পাল্লা ভারি থাকায় তৃণমূল কিছুটা চাপে ছিল। এর মধ্যে তিনজন এসইউসিআই থেকে ও একজন সিপিএম থেকে নির্দলে চলে যায়। আবার ৩ নির্দল সমর্থক চলে যায় তৃণমূলের দিকে। উল্টোদিকে আবার তিন তৃণমূল সমর্থক নির্দল হয়ে যান। এই ভাবে ওই পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জন নির্দল, এবং তৃণমূলে ৯ জন চলে যান।
নন্দকিশোর তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হলেও পরে তিনি নির্দল সমর্থক হয়ে যান। বোর্ড গঠনের আগে দুই শিবিরেই জয়ী সদস্যদের নিজেদের হেফাজতে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই সব সদস্যরা দুই শিবিরে থাকছিলেন। কয়েকদিন আগেই মা মারা যান নন্দকিশোরের। সোমবার মায়ের শ্রাদ্ধনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার বাড়ি ফেরেন নন্দকিশোর।
অভিযোগ, এ দিন রাতে ২০-২৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল নন্দকিশোরের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে নন্দকিশোরের স্ত্রী সাগরিকাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সাগরিকা বলেন, ‘‘আমার স্বামী ভোটে জেতার পর নির্দলকে সমর্থন করছিল। সেই নিয়ে এ দিন রাতে বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারা বলতে থাকে, তৃণমূলের টিকিটে জিতে নির্দলকে সমর্থন করা। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, ‘‘নন্দকিশোর আমাদের জয়ী সদস্য। তাঁকে অপহরণ করার কোনও প্রশ্নই নেই। উল্টে সিপিএম, নির্দল, এসইউসিআই আমাদের জয়ীদের ভয় দেখাচ্ছে। তাঁরা ভয়ে কোথাও যেতে পারছেন না। উল্টে ওঁরাই আমাদের কয়েকজন জয়ী সদস্যদের আটকে রেখেছে। তবে প্রশাসনকে বলব নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’