Clash in Sandeshkhali

তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত সন্দেশখালি, উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত, হাসপাতালে আট

পদ্মশিবিরের দাবি, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় জালিয়াখালিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৪৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে। মারামারি, গন্ডগোলে জখম হলেন তৃণমূল এবং বিজেপির অন্তত ১০জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে আট জনের শারীরিক পরিস্থিতি এমন হয় যে, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।

Advertisement

গন্ডগোল এবং মারামারি নিয়ে সন্দেশখালি-২ ব্লকের সভাপতি দিলীপ মল্লিকের দাবি, স্থানীয় মসজিদের ইমামের সঙ্গে কথা বলছিলেন বিজেপির কয়েক জন কর্মী। সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী। কী নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে জানতে চাওয়াতেই অতর্কিতে তৃণমূলের লোকজনের উপর হামলা চালান বিজেপির কর্মীরা। তাতে তৃণমূলের ছয় কর্মী এবং সমর্থক গুরুতর জখম হন। এমনকি, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পদ্মশিবির।

বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুকল্যাণ বৈদ্যের অভিযোগ ভিন্ন। তাঁর দাবি, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় জালিয়াখালিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপির কর্মীরা ওই মিছিলে যোগ দিতে অস্বীকার করায় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। তাঁর দাবি, তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকেরা বিনা প্ররোচনায় বিজেপির কর্মীদের মারধর করেছেন।

Advertisement

গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ। দু’পক্ষের জখম আট জনকে খুলনা হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে তারা। এই অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেশখালি থানার ওসি বলয় ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঘটনার জেরে দু’পক্ষের মোট পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement