টাকা-শূন্য এটিএম। বনগাঁয়।
ব্যাঙ্কে ছুটি। চালু হল না এটিএম। নোট বাতিলের জেরে দুর্ভোগ বাড়ছে দুই জেলায়।
বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা শুভদ্বীপ বিশ্বাস ৫০০ টাকার নোট নিয়ে মোটরবাইকের তেল ভরতে গিয়েছিলেন সোমবার সকালে। কিন্তু স্থানীয় পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা জানিয়ে দেন, ৫০০ টাকার নোট নেওয়া হবে না। এরপর শহরের এটিএম কাউন্টারে যান তিনি। কিন্তু কোথাও টাকা পাননি।
সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুই জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে এই ছবি। বেশিরভাগ এটিএমের সাটার নামানো ছিল। কয়েকটি এটিএমে লেখা ছিল, ‘নো ক্যাশ’। বনগাঁ শহরের বাটার মোড় এলাকার একটি এটিএমের সামনে দীর্ঘ লাইন ছিল। কিন্তু সেই এটিএমে টাকা ছিল না।
ওই এটিএমের সামনে গিয়ে জানা যায়, টাকা আসার সম্ভবনা রয়েছে। তাই লাইন রাখা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে অবশ্য হাল ছেড়ে ভেঙে যায় সেই লাইন। গোপালনগরের একটি এটিএমের কর্মী বলেন, ‘‘মানুষ এসে আমাকে চেপে ধরছেন। কিন্তু টাকা না এলে আমি কী কররো! কখন টাকা আসবি আমি জানি না।’’
দুই জেলাতেই এটিএম সংলগ্ন দোকানগুলির কদর বেড়ে গিয়েছে। মুখ চেনা লোকজন সেই দোকানে বলে রাখছেন, ‘‘দাদা আমার মোবাইল নম্বরটি রাখুন। এটিএমে টাকা এলে দয়া করে জানাবেন।’’ প্রায় একই অবস্থা ছিল বসিরহাট, ব্যারাকপুর এবং বারাসতে।
ডায়মন্ড হারবারের প্রায় সব এটিএমে রবিবার রাত থেকেই সাটার নামানো ছিল। টাকা তুলতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
ডায়মন্ড হারবার শহরের একটি এটিএমের সামনে দাঁড়িয়ে ফলতার বাসিন্দা বিমল গুড়িয়া, অরুণ কয়ালদের ক্ষোভ, ‘‘ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে আত্মীয় ভর্তি রয়েছেন। ওষুধ কিনতে হবে। কিন্তু সঙ্গে নগদ টাকা নেই। ব্যাঙ্ক বন্ধ। এটিএমেও টাকা নেই। কী করবো বুঝতে পারছি না।’’ ক্যানিং, কাকদ্বীপের এটিএমগুলিতেও টাকা ছিল না বললেই চলে। নিজস্ব চিত্র।
ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত। ষোলো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে হাবরার নতুনগ্রাম এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে ডেকে এনে ওই কিশোর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।