প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে ভর্তির পরে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি (ইউএসজি) করে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তরুণী এবং গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ রয়েছে। কিন্তু দু’ঘণ্টা পরেই ফের পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানান শিশুটির মৃত্যু হয়েছে!
গত শনিবার বেলঘরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক ও ইউএসজি করা টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল ওই তরুণীর পরিবার। সোমবার তাঁরা বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিশুটির ময়না-তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথমে ইউএসজি করে কোনও সমস্যাই মেলেনি।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে বেলঘরিয়া ১ নম্বর প্রবর্তকপল্লির বাসিন্দা অমিতাভ রায়ের ৩৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিঙ্কুর পেটে যন্ত্রণা শুরু হলে বেলঘরিয়ার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আগে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন রিঙ্কু। অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ফোন করে জানানো হয়, রিঙ্কুর অবস্থার অবনতি হয়েছে। এর পরে ফের ইউএসজি করে বলা হয় গর্ভস্থ শিশুটি মারা গিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, কেন এমন ঘটল জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনি। অমিতাভের আরও অভিযোগ, ‘‘দ্বিতীয় ইউএসজি-র কোনও কাগজপত্রও দেওয়া হয়নি।’’ যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্ত কাগজই দেওয়া হয়েছে।
শ্রাবণীদেবী বলেন, ‘‘পেটে ব্যথা, বাচ্চা কম নড়ছে বলে ওই তরুণী ভর্তি হন। ইউএসজি-তে মা-বাচ্চা কারও কোনও সমস্যা মেলেনি। কিন্তু ২ ঘণ্টার মধ্যে কেন এমন ঘটল তা জানতেই ময়না-তদন্ত করা হচ্ছে।’’
বিষয়টিকে গাফিলতি বলতে নারাজ স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এটা কর্ড অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে। অনেক সময়েই নাড়ি জড়িয়ে ফাঁস তৈরি হয়। তাতে আটকে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় শিশুর। এ ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকতে পারে। এটা রোগী, পরিবার ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে দুর্ভাগ্যের।’’