খন্দে ভরা রাস্তা, অবরোধে গ্রামবাসী

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থেকে হাড়োয়া যাওয়ার সেই বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সোমবার সকাল সকাল ৮টা থেকে দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়া এলাকায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে, ব্যানার হাতে রাস্তা অবরোধে নামল স্কুল পড়ুয়ারা। সঙ্গে যোগ দিলেন গ্রামের মানুষ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ চলে।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০২:১২
Share:

অবরোধ: খুদেরাও সামিল। দেগঙ্গায় তোলা নিজস্ব চিত্র

নামেই রাস্তা। কিন্তু চলার উপায় নেই!

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থেকে হাড়োয়া যাওয়ার সেই বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সোমবার সকাল সকাল ৮টা থেকে দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়া এলাকায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে, ব্যানার হাতে রাস্তা অবরোধে নামল স্কুল পড়ুয়ারা। সঙ্গে যোগ দিলেন গ্রামের মানুষ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ চলে।

পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হলে অবরোধ উঠবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। অবশেষে পাঁচ দিনের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে দেগঙ্গার বিডিও-র পক্ষে আশ্বাস মেলার পরে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

দেগঙ্গা বাজার থেকে হাড়োয়ার পিলখানা হয়ে হাসপাতাল মোড় যাওয়ার ১১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতির অভাবে দীর্ঘ দিন বেহাল। সেই রাস্তাটি সারাইয়ের দাবিতে ২০১৬ সাল থেকে আন্দোলন চলছে। বেশ কয়েকবার ওই রাস্তাটি সারানোর দাবিতে বিক্ষোভ-অবরোধে নামেন এলাকার মানুষ। এরপরে দু’দফায় চলে রাস্তা মেরামতির কাজ। ৮ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার হয় ঠিকই। কিন্তু বাকি ৩ কিলোমিটার মেরামতির কাজ আজও শুরু হয়নি। মহিব্বার মোল্লা নামে এক বিক্ষোভকারীর কথায়, ‘‘কঙ্কালসার রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ছেলেমেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে ভয় লাগে। যদি পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙে।’’

এই রাস্তার মধ্যেই পড়ে দু’টি স্কুল। ছাত্রছাত্রীরা সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আমিনা খাতুন নামে এক ছাত্রী বলে, ‘‘রাস্তার পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়। আর গরমের সময়ে পাথরে পিছলে সাইকেল থেকে পড়ে পা হাত ভেঙেছে অনেকেরই।’’

ওই রাস্তার উপরে রয়েছে একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাড়োয়া ব্লক স্বাস্থ্য হাসপাতাল। আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে অনেক সময় লেগে যায়। শুধু তাই নয়, গ্রামের কৃষিজ পণ্য ভ্যান রিকশা করে বাজারে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। এর জন্যই এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সারানোর প্রয়োজন।’’ লুতফার রহমান বিশ্বাস নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘গত বছর জানুয়ারি মাসে এই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে আমরা পথে নেমেছিলাম। প্রশাসন কথা দেয়, মেরামতি হবে। কিন্তু তা এখনও হয়নি।’’ আব্দুল কামাল বলেন, ‘‘রাস্তা মেরামতির জন্য পাথর ফেলা হয়েছিল। কিন্তু কাজ না করে তা তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।’’

তবে এ দিন দেগঙ্গার বিডিও মনোজকুমার বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি রাস্তা মেরামতির জন্য দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে।’’বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন, শীঘ্রই মেরামতি শুরু না হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে নামবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন