বাসন্তীর একটি পঞ্চায়েতের বাইরে মোতায়েন পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। মন্দিরবাজার ব্লকের কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতে ভোটের দিন লাইনে দাঁড়িয়ে খুন হন এক নির্দল সমর্থক। শুক্রবার ছিল ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। গন্ডগোলের আশঙ্কায় সকাল থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন ছিল। সকালে দু’পক্ষের ভিড় হঠাতে পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়া করতে হয়েছে।
ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৬টি। তৃণমূল জিতেছে ৭টিতে। বিজেপিও পেয়েছে ৭টি আসন। বাকি দু’টি আসনে জয়ী তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দল ও সিপিএমের বিক্ষুব্ধ নির্দল।
বোর্ড গঠনের আগেই দুই নির্দল জয়ী প্রার্থী বিজেপি ও তৃণমূলে যোগ দেন। এই পরিস্থিতিতেও দু’পক্ষের সদস্য সংখ্যা সমান সমান। বোর্ড গঠনে বিকেল পর্যন্ত ভোটাভুটি চললেও ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি প্রশাসন। মন্দিরবাজারের বিডিও অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, ‘‘দু’পক্ষের ব্যালট পেপারে সমস্যা হওয়ায় ভোটাভুটি স্থগিত রাখা হয়েছে। নতুন করে পরবর্তী বোর্ড গঠনের দিন ঘোষণা করা হবে।
ব্লকের আরও তিনটি পঞ্চায়েতে অবশ্য এ দিন বোর্ড গঠন হয়েছে। গাববেড়িয়া, আচনা ও জগদীশপুর। আচনা ও জগদীশপুর শাসকদলের দখলে থাকলেও গাববেড়িয়া পঞ্চায়েতটি বিজেপি দখল করেছে।
অন্য দিকে, দীর্ঘ টালবাহানার পরে ক্যানিং মহকুমার বেশ কিছু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। শুক্রবার বাসন্তী ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েত, গোসাবা ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তারা। শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
জয়নগর ১ ব্লকের রাজাপুর করাবেগ, জাঙ্গালিয়া ও খাকুড়দহ পঞ্চায়েত এবং কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ বৈকুন্ঠপুর, গোপালগঞ্জ ও জ্বালাবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতে এ দিন নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেয়। সব ক’টিতেই ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল।