ISRO

৬০০০ কেজির কৃত্রিম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ! ভারতের ‘বাহুবলী’র হাত ধরে মহাকাশে পাড়ি দিল মার্কিন ‘ব্লু বার্ড ৬’

বুধবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে উৎক্ষেপণের কথা ছিল এলভিএম৩-এম৬ রকেটের। কিন্তু মহাকাশের বর্জ্য ও অন্যান্য কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণের সময় ৯০ সেকেন্ড পিছিয়ে দেয় ইসরো।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১৫
Share:

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হল এলভিএম৩-এম৬ রকেট। ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের ‘বাহুবলী’ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিল মার্কিন কৃত্রিম উপগ্রহ। বুধবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হল মার্কিন সংস্থা এএসটি স্পেসমোবাইল-এর তৈরি অত্যাধুনিক কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ‘ব্লু বার্ড ৬’। প্রায় ৬০০০ কেজি ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস গড়ল ভারতের এলভিএম৩-এম৬ রকেট।

Advertisement

ব্লু বার্ড ৬ মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ স্মার্টফোনে সরাসরি ব্রডব্যান্ড সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম। বুধবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহটি সমেত উৎক্ষেপণের কথা ছিল এলভিএম৩-এম৬ রকেটের। কিন্তু মহাকাশের বর্জ্য কিংবা অন্যান্য স্যাটেলাইটের গতিপথের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণের সময় ৯০ সেকেন্ড পিছিয়ে দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শেষমেশ ৮টা ৫৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে ‘বাহুবলী’ রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয় উপগ্রহটি।

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, উৎক্ষেপণের প্রায় ১৫ মিনিট পর রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা ব্লু বার্ড ৬-এর। তার পর প্রায় ৫২০ কিলোমিটার উচ্চতায় তার নির্ধারিত কক্ষপথে গিয়ে থিতু হবে সে। উল্লেখ্য, ব্লু বার্ড ৬-ই এ পর্যন্ত ভারতের কোনও রকেট দ্বারা মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ। ওজন প্রায় ৬,১০০ কেজি। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, ভারতের মাটি থেকে এর আগে এত ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হয়নি। তাই ৪৩.৫ মিটার উঁচু এলভিএম৩-এম৬ রকেটটিকেই এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়। ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এই রকেটকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ‘বাহুবলী’। ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এলভিএম৩ রকেটগুলির মধ্যে এটি ষষ্ঠ সংস্করণ।

Advertisement

বাহুবলী রকেটের সফল উৎক্ষেপণের পর সমাজমাধ্যমে ইসরো-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতের মহাকাশ যাত্রায় এটি একটি গর্বের মাইলফলক। এই উৎক্ষেপণ আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলনও। আমাদের পরিশ্রমী মহাকাশবিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনন্দন জানাই৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement