Libya

ওড়ার পরমুহূর্তেই বিপর্যয়! তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল লিবিয়ার সেনাপ্রধানের, হত আরও চার সেনাকর্তা

সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বৈঠকের জন্য সে দেশে গিয়েছিলেন লিবিয়ার সেনাপ্রধান। সরকারি সফর শেষে নিজদেশে ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাপ্রধানের বিমানটি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:২২
Share:

লিবিয়ার সেনাপ্রধান মহম্মদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ। ছবি: রয়টার্স।

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল লিবিয়ার সেনাপ্রধান মহম্মদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদের। মঙ্গলবার রাতে (স্থানীয় সময়) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি। সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে লিবিয়ার আরও চার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্তা এবং তিন বিমানকর্মীর।

Advertisement

সংবাদসংস্থা এপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে দাসোঁ ফ্যালকন ৫০ বিজনেস জেটে লিবিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন লিবিয়ার সেনাকর্তারা। স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বিমানটি ওড়ে। তার আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় বিমানে। ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ হাইমানার কাছে জরুরি অবতরণ করতে চেয়ে কন্ট্রোল রুমকে বার্তাও দেন পাইলট। তার পর থেকে আর ওই বিমানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। রেডার থেকেও অদৃশ্য হয়ে যায় বিমানটি।

তুরস্ক সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বৈঠকের জন্য সে দেশে গিয়েছিলেন লিবিয়ার সেনাপ্রধান। সরকারি সফর শেষে নিজদেশে ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাপ্রধানের বিমানটি। দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ওড়ার পর বিমানে আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে রাজধানী থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটার দূরে মেলে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ।

Advertisement

বিবৃতি দিয়ে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল-হামিদ দবেইবা দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে দুর্ঘটনাটিকে ‘বড় বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনা দেশ, সেনাবাহিনী ও জনগণের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আল-হাদ্দাদ ছাড়া অন্য নিহত সেনাকর্তারা হলেন লিবিয়ার স্থলবাহিনীর প্রধান আল-ফিতুরি ঘারিবিল, সামরিক উৎপাদন সংক্রান্ত ডিরেক্টর মাহমুদ আল-কাতাওয়ি, আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মহম্মদ আল-আসাওয়ি দিয়াব এবং সামরিক দফতরের চিত্রগ্রাহক মহম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।

উল্লেখ্য, পশ্চিম লিবিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন আল-হাদ্দাদ। মুয়াম্মর গদ্দাফি-বিরোধী বিদ্রোহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে লিবিয়ার সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আল-হাদ্দাদ। দেশটির বিভক্ত সশস্ত্রবাহিনীকে একত্রিত করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সমর্থিত প্রচেষ্টাতেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement