একটি বার্জ খারাপ, প্রভাব ব্যবসায়

রবিবার সকালে নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পারাপারে নাস্তানাবুদ হলেন যাত্রীরা। একই ছবি দেখা গিয়েছে শুক্র-শনিবারেও। কারণ, তিন দিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে নদী পারাপারের ছোট বার্জটি।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

নামখানা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০১:২৬
Share:

অপেক্ষা: বার্জের জন্য দাঁড়িয়ে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

ঘাটের কাছে অন্তত ২৫০ গাড়ির লাইন। কয়েকশো পর্যটকের ভিড়। রোগী নিয়ে হাজির অ্যাম্বুল্যান্স। আনাজের বোঝা নিয়ে উপস্থিত আরও কয়েকশো ব্যবসায়ী। কিন্তু যাবেন কী ভাবে? বার্জ তো মাত্র একটি!

Advertisement

রবিবার সকালে নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া পারাপারে নাস্তানাবুদ হলেন যাত্রীরা। একই ছবি দেখা গিয়েছে শুক্র-শনিবারেও। কারণ, তিন দিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে নদী পারাপারের ছোট বার্জটি। স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, দু’টি বার্জই বছরে বারবার খারাপ হচ্ছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তার প্রভাব পড়ছে এলাকার অর্থনীতিতেও।

হাতানিয়া-দোয়ানিয়ার এক দিকে নামখানা। অন্য দিকে নারায়ণপুর। বছরের এই সময়ে নারায়ণপুরে আবার আনাজের অস্থায়ী বাজার বসে। মূলত পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের জন্য রয়েছে পরিবহণ নিগমের বড় বার্জ ‘মৎস্যগঙ্গা’। আনাজ পরিবহণ এবং চাষি-ব্যবসায়ীদের জন্য মূলত ছোট বার্জটি ব্যবহার হয়। কিন্তু একটি খারাপ হয়ে গেলে অন্যটিতে চাপ পড়ে। তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এ দিনই যেমন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ছোট বার্জটিতে উঠতে পারেননি উচ্ছে ব্যবসায়ী বলরাম মিদ্যে। পানের বাজারও ধরতে পারেননি অনেকে।

Advertisement

রাজ্য পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ছোট বার্জটি অচল হয়ে গিয়েছে। আমরা দ্রুত সারিয়ে ফেলব বলে আশা করছি।’’

কিন্তু স্থানীয়েরা চান, সমস্যার স্থায়ী সমাধান। তাঁরা জানিয়েছেন, গত এক মাসে দু’বার খারাপ হয়েছে ‘মৎস্যগঙ্গা’। এ বার সমস্যা হল ছোট বার্জে। এ দিন এক সময়ে পর্যটকদের গাড়ির লাইন নামখানা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁদের। বকখালি হোটেল-মালিকদের একাংশের দাবি, প্রতি রবিবার অসংখ্য পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন। এ ভাবে তাঁদের ব্যবসাও নষ্ট হচ্ছে। শুধুমাত্র পারাপারের ভোগান্তির কথা ভেবে বকখালি যাওয়ার কথা শুনলেই অনেকে আঁতকে উঠছেন।

ভেসেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আইএনটিটিইউসি নেতা বাদল জানার অভিযোগ, ‘‘পরিবহণ দফতরের গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শিকার হতে হচ্ছে আমাদের ভেসেল কর্মীদের। তাঁদের সঙ্গে যাত্রীদের ঝামেলাও হচ্ছে।’’

নামখানার উচ্ছে ব্যবসায়ী বলরাম মিদ্যে বলেন, ‘‘বাজার ধরতে না পারলে পাইকার মাল আর কিনবে না। খরচ করে এসে জলের দরে উচ্ছে দিয়ে দিতে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন