পরীক্ষা: এখানেই মারা গিয়েছেন দম্পতি। নিজস্ব চিত্র
ভোটের আগের রাতে সিপিএম সমর্থক দম্পতিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার দেহ উদ্ধার নিয়ে দিনভর চলে টানাপড়েন। মঙ্গলবার বুধাখালিতে নিহত দেবব্রত দাসের বাড়িতে এসে ঘুরে গেল ফরেন্সিক দল।
দেবাশিস সাহার নেতৃত্বে এ দিন দুই সদস্যের দল বাড়ির পুড়ে যাওয়া অংশগুলি খতিয়ে দেখেন। সেখান থেকে নানা রকম নমুনা সংগ্রহ করেন। কেরোসিন তেল, পোড়া মবিলের ড্রাম, মাটি, পুড়ে যাওয়া জামাকাপড় নিয়ে গিয়েছেন। বিদ্যুতের তারও পরীক্ষা করে দেখা হয়। সোমবার দেবব্রতবাবুর ছেলে দীপঙ্করের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠিয়েছিল সুন্দরবন পুলিশ জেলা।
সোমবার পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দেহ নিয়ে কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের দিকে রওনা হয়েছিলেন। পথে পুলিশ সেগুলি আটকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু এ দিন সে কাজ এগোয়নি।
কেন হল না ময়নাতদন্ত?
পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। সোমবার দেহ হাতে পেলেও তা জানানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভোটের কাজে পুলিশকর্মীদের ব্যস্ততা থাকায় সোমবার সেই চিঠি হাসপাতালে পৌঁছয়নি। মঙ্গলবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সব মৃত্যু ঘিরে জটিলতা, রাজনৈতিক চাপানউতোর রয়েছে, সেগুলির বিশেষ ময়নাতদন্তের জন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা কাকদ্বীপ হাসপাতালে নেই। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আজ, বুধবার দেবব্রত ও উষার দেহ পাঠানো হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।