পঞ্চায়েতে জয়ীদের নিয়ে বৈঠক বিজেপির

চৌবেড়িয়া ২, কোনিয়াড়া ২, সিন্দ্রাণী ও ধর্মপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া, জলেশ্বর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান। বাকি দু’টি আসন পেয়েছে নির্দল প্রার্থীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০২:২০
Share:

কর্মিসভা: বাগদার নাটাবেড়িয়ায়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

ভয় দেখিয়ে যাতে শাসকদল পঞ্চায়েত ভোটের জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের নিজের দলে না আনতে পারে, তার জন্য পদক্ষেপ করল বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

মঙ্গলবার বাগদার নাটাবেড়িয়ায় দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার তরফে বিজেপির একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। ওই প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে বারাসত সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বিজেপির ২৮০ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও দল জয়ী হয়েছে। আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি অন্য দলের সাহায্য নিয়ে বোর্ড গঠনের জায়গায় রয়েছে।

Advertisement

চৌবেড়িয়া ২, কোনিয়াড়া ২, সিন্দ্রাণী ও ধর্মপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া, জলেশ্বর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান। বাকি দু’টি আসন পেয়েছে নির্দল প্রার্থীরা।

বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই জয়ী সদস্যদের হুমকি ও আর্থিক প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, যদিও এখনও পর্যন্ত জয়ী কোনও পঞ্চায়েত সদস্য শাসক দলে নাম লেখাননি। তাই দলীয় সদস্যদের মনোবল অটুট রাখতে রাজ্য সভাপতি বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি এখন কী ভাবে চলতে হবে তার নির্দেশিকাও দিয়েছেন।

সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, জেলায় একটিও পঞ্চায়েত বোর্ড বিজেপি গঠন করতে পারবে না। তার জন্য যা প্রয়োজন দল তা করবে বলেও জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানিয়েছিলেন। শাসকদলের ওই ঘোষণার পরে বিজেপির এ দিনের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

বিজেপি অবশ্য ওই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের জয়ী হওয়া পঞ্চায়েত চারটিতে বোর্ড গঠন করবই। পাশাপাশি তৃণমূল ছাড়া অন্য দলের সাহায্যে আমরা আরও কয়েকটি পঞ্চায়েত গঠন করব।’’

বৈঠক শেষে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘ভোটে জিততে না পেরে তৃণমূল এখন পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে মামলা দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন